বই-কথা

বই পড়ে ক্রিকেট শেখা: গোপাল বসুর “এসো ক্রিকেট খেলি”

প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের একটি বিশেষ গুণ থাকে। জটিল থেকে জটিলতর বিষয়কে সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা। একজন সাধারণ মানুষ এমন কি একটি শিশুও যা শুনে বা পড়ে বিষয়টি অনুধাবন এবং প্রণিধান করতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধে আমরা এই বিষয়টি লক্ষ্য করে…
কবিপক্ষ এসে গেল, আসন্ন রবীন্দ্র জন্মোৎসবের হাত ধরে। বাংলা সাহিত্যের নানা ‘শাখা-প্রশাখায় শিহরণ’ জাগানো এই দিনে আজ বেশি করে মনে হচ্ছে বাংলা ক্রিকেট সাহিত্যের কথা, মনে পড়ছে পূর্বপথিকদের কয়েকজনের নাম – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, কুলদারঞ্জন রায়, বেরী সর্বাধিকারী, শঙ্করীপ্রসাদ বসু, রাখাল…
প্রথমত থেকে দ্বিতীয়ত হয়ে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটা তথাকথিত ফিল্ম-সুশীলদের জন্য নয়। কারণ, “৮৩” নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া আমার চোখে দেখা। “৮৩”-র মত এটিও একটি মেনস্ট্রিম ক্রিকেট নিয়ে ফিল্মের “কথা ও কাহিনী”, যা দেখতে গেলে অধিকাংশ ফিল্ম-সুশীলদের ভ্রূ একটু বেশিই কুঞ্চিত…
মাঠে নেমে লাল বলে যাঁরা কখনও ক্রিকেট খেলেছেন (বা আম্পায়ারিং করেছেন), তাঁরা জানেন তাগড়া পেসারের বল কেমন ‘হুশ’ করে স্টাম্প ঘেঁসে বেরিয়ে যায় বা প্যাঁচালো স্পিনারের বল কেমন ‘সরর’ আওয়াজ করে হাওয়ায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ নেমে আসে অথবা বেকুব ব্যাটের…
লেখক মূলত ছোটগল্পকার. এই বইটা ওঁর প্রথম ক্রিকেটীয় নন-ফিকশন, জুন-২০১৯-এ প্রকাশিত। আলগোছে বালিশে হেলান দিয়ে বসে বইয়ের ভূমিকাটায় চোখ বোলাতে বোলাতে সোজা হয়ে বসলাম। ভাষা ও প্রকাশভঙ্গিমায় একটা স্বাতন্ত্র্য রয়েছে, যা প্রথমে একটু আলঙ্কারিক ব’লে মনে হ’তে পারে, কিন্তু একটু…
“অভির স্বপ্ন” [জানুয়ারি-২০২০ সংস্করণ] বই আকারে পড়লাম – মন্দ লাগেনি। বিষয়টা বেশ নতুন ধরণের – খেলার মাঠে ‘লাইফ-থ্রেটনিং’ চোট পাওয়া, সেরে ওঠা ও মাঠে প্রত্যাবর্তন – এই নিয়ে বাংলা ক্রীড়া-সাহিত্যে বিশেষ কেউ লিখেছেন বলে আমি অন্ততঃ জানিনা [অবশ্য আমার জানার…
এই বইটা কিছুক্ষণের জন্য যেন আমাকে আবার আমার সেই পঞ্চম-ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণীতে-পড়া ‘প্রি-টিন-এজ’ দিনগুলোয় ফিরিয়ে নিয়ে গেছিল। মনে পড়ে গেল ষাটের দশকের শেষে কেনা আমার এক প্রিয় বাংলা ক্রিকেটের বইয়ের কথা যেটা কেউ কেউ হয়ত পড়েছেন – দিলীপ দত্তের লেখা “উইকেট…
মাস-দেড়েক আগে প্রকাশিত বইটা পড়লাম, সব মিলিয়ে ভালই লাগল। ক্রিকেট-মাঠের জীবন, ক্রিকেটের ভাগ্যনিয়ন্তাদের কারিকুরি ও প্রায় দু’দশকের ব্যবধানের ঘটনাপ্রবাহকে নিয়ে প্লট-টা নতুন ধরণের, তবে মাঝেমধ্যে একটু বিক্ষিপ্ত লেগেছে, মনে হয় খানিকটা যেন ‘ফিল্মি জাম্প-কাট’-এর বাড়তি ব্যবহারের কারণে। ‘কহানি মে ট্যুইস্ট’…
শচীনের প্রথম রঞ্জি ম্যাচ. রায়-পরিবারের ক্র্রিকেট-সংস্কৃতি, রবীন্দ্র-রচনায় বা ইংরিজি সাহিত্যে ক্রিকেট, রমণী ও ক্রিকেট, ক্রিকেট-ম্যাচের শ্রেণীবিভাগের বিতর্ক, বিশ্ব-ক্রিকেটে বাংলা, বাঙালির ক্রিকেট-সাধনা – ‘বাংলা ক’রে’ জানতে-বুঝতে ইচ্ছে করলে আপনাকে পড়তে হবে প্রথম বইটা। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুবির উত্থান, কাম্বলির অপচয়িত…
সেই সত্তর-আশি! আবার! আজ মাতৃভাষাদিবসের পরের দিন। এই ভদ্রলোকের টেস্টে “প্রথম” ১০,০০০ রান ছোঁয়ার মতই এই বইটাও “প্রথম”, আমার ইংলিশ মিডিয়ামে ক্রীড়াসাহিত্যে চোখে খড়ির।১৯৮৩তে প্রকাশিত এই বইটা চোখ খুলে দিয়েছিল এক মাতৃভাষাপ্রেমী বছর পঁচিশের, যে বাঙলা মিডিয়ামের বাইরেও খেলার লেখা…
আরো পোস্ট