পাঠ প্রতিক্রিয়া – আইডলস

সেই সত্তর-আশি! আবার!

আজ মাতৃভাষাদিবসের পরের দিন।

এই ভদ্রলোকের টেস্টে “প্রথম” ১০,০০০ রান ছোঁয়ার মতই এই বইটাও “প্রথম”, আমার ইংলিশ মিডিয়ামে ক্রীড়াসাহিত্যে চোখে খড়ির।১৯৮৩তে প্রকাশিত এই বইটা চোখ খুলে দিয়েছিল এক মাতৃভাষাপ্রেমী বছর পঁচিশের, যে বাঙলা মিডিয়ামের বাইরেও খেলার লেখা হয়।কি সুন্দর করে যে এই বইটা লেখা ছিল সবার গ্রহণযোগ্য ইংরেজীতে (রূপা পাবলিশার্স), যারা পড়েছেন, সবাই জানেন।

আসলে ভাষা তো মনপসন্দ ব্যাপারস্যাপার মস্তিষ্কে আর বুকের বাঁদিকে ঢুকিয়ে দেবার সিংহদরজা অথবা স্পিংবোর্ড ছাড়া আর কিছু না।

পরে অবশ্য এই বইটা বাংলা মিডিয়ামেও আত্মপ্রকাশ করেছিল, রূপা পাবলিশার্সের সহায়তায়, বেঙ্গল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকাশনায়।ইংরেজীতে সানির লেখাগুলো বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন সূর্য ঘোষ, ধীমান দত্ত, পল্লব বসু মল্লিক, অরূপ বসু, অলক চট্টোপাধ্যায় এবং অশোক দাশগুপ্ত।

ছবি : সুমিত গাঙ্গুলী

সানি এই বইয়ে যে ৩১ জন ক্রিকেটারকে আইডল মেনে নিয়েছিলেন, তাঁরা ছিলেন ১) আসিফ ইকবাল, ২) বিষাণ সিং বেদী, ৩) ভাগবত সুব্রাহ্মনিয়াম চন্দ্রশেখর, ৪) ক্লাইভ লয়েড, ৫) ডেনিস লিলি, ৬) কপিলদেব নিখাঞ্জ, ৭) এরাপল্লী প্রসন্ন, ৮) ইমরান খান, ৯) স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, ১০) জিওফ বয়কট, ১১) শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাঘবন, ১২) গ্রেগ চ্যাপেল, ১৩) ইয়ান বথাম, ১৪) স্যার রিচার্ড হেডলি, ১৫) সৈয়দ কিরমানি, ১৬) রডনি মার্শ, ১৭) রোহন কানহাই, ১৮) স্যার গ্যারি সোবার্স, ১৯) গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, ২০) অ্যালান নট, ২১) ডেরেক আন্ডারউড, ২২) অ্যান্ডি রবার্টস, ২৩) “জেড” জাহির আব্বাস, ২৪) মহিন্দার “জিমি” অমরনাথ, ২৫) জাভেদ মিঁয়াদাদ, ২৬) ইয়ান চ্যাপেল, ২৭) গ্লেন টার্নার, ২৮) জন স্নো, ২৯) জেফ টমসন এবং কোনদিন টেস্ট না খেলা দুই দুর্ভাগা ভারতীয় স্পিনার, ৩০) পদ্মাকর শিভালকর আর ৩১) সদ্যপ্রয়াত রাজিন্দার গোয়েল। 

খেলোয়াড়দের শ্রদ্ধা জানানো ইনট্রোডাক্টরি লাইনগুলি ছিল এ বইয়ের সম্পদ।তার মধ্যে ২২টি ছিল এইরকম:-

গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ – “The Supreme Stylist, little man with a big heart.”

মহিন্দার অমরনাথ – “Courage thy name is Jimmy.”

কপিলদেব নিখাঞ্জ – “The most natural cricketer in the world.”

বিষাণ সিং বেদী – “Flies like a butterfly, stings like a bee.”

ভাগবত সুব্রাহ্মনিয়াম চন্দ্রশেখর – ” ‘Wicked’ taking arm of India.”

এরাপল্লী প্রসন্ন – “The smiling assassin.”

শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাঘবন – “The patient Indian.”

সৈয়দ কিরমানি – “Keeper of India’s fortunes.”

স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস – “The best batsman in World.”

স্যার গ্যারি সোবার্স – “The Greatest.”

রোহন কানহাই – “Friend, Philosopher and Guide.”

ক্লাইভ লয়েড – “Supercat, Cricket’s real Gentleman.”

ইয়ান চ্যাপেল – “Memorable cricketer, terrific captain.

গ্লেন টার্নার – “Hungry for run.”

জিওফ বয়কট – “Second to none in technique.”

“জেড” জাহির আব্বাস – “The big hundred specialist.”

গ্রেগ চ্যাপেল – “Mr. Elegance, on and off the field.”

অ্যান্ডি রবার্টস – “The quite fast bowler of the world.”

ইয়ান বথাম – “The best Allrounder.”

স্যার রিচার্ড হেডলি – “The Ironman of Newzealand, outstanding allrounder.”

পদ্মাকর শিভালকর – “Honest Trier, who missed out.”

রাজিন্দার গোয়েল – “Simply Unlucky.”

অবশ্যপাঠ্য এই বইটি তখন ভারতীয় ক্রিকেট ফলো করতে খুব সাহায্য করেছিল এক নভিশ ক্রিকেটপ্রেমীকে।