ভিডিওকন মাঠে সিএবি লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভবানীপুর ক্লাব এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভবানীপুর ক্লাবের দুই বাঁহাতি ব্যাটার অভিষেক রমণ এবং কৌশিক ঘোষের দাপটে বোর্ডে ৫০০ রান তোলে ভবানীপুর। এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরুতে অভিজ্ঞ জয়জিৎ বসু এবং আদিত্য পুরোহিতকে হারিয়ে ৫৪/২ হয়ে গেলেও দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেন গীতিময় বসু এবং রবিকান্ত শুক্লা। গীতিময় ৯১ রান করে আউট হয়ে গেলেও বিকাশ সিংকে নিয়ে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান রবিকান্ত। তার ২১৮ রানের ইনিংসই মহামেডান ক্লাবের ৫০২ রান সফলভাবে তাড়া করার অন্যতম স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়। আজ মূলত ব্যাটারদের মুন্সীয়ানায় লিগের সেমিফাইনালে মহামেডান।
৫০২ টার্গেট দেখে কি বিশ্বাস হয়েছিল? জয়জিৎ বলেন, “বিশ্বাস না হলে তো পারফরমেন্স হবেনা। আমি দলকে বলেছি যে ওরা ৪০০ করলে ৪০১ করবো, ৫০০ হোলে ৫০১ করবো। উইকেট ফ্ল্যাট ছিল এবং ৫০০ তাড়া করা যেত। রবিকান্ত, গীতিময়, বিকাশ সবাই দারুণ ব্যাট করেছে।” জয়জিৎ যোগ করেন, ” দুটো দলের ব্যাটাররাই অসাধারণ ছিল। নাহলে বাড়ির ছাদেও আন্ডারআর্ম বলে ৫০০ করা সহজ নয়। যে দলের বোলাররা একটু ভালো করেছে তারা জিতেছে।” এতো বড়ো রান তাড়া করতে গেলে প্রতিটা সেশনেই অনবদ্য ব্যাট করতে হয়। জয়জিৎ বলেন, “ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং হয়েছে। গতকাল প্রায় ৫০ ওভারের মধ্যে ২৩০ মতো হয়ে গিয়েছিল, মানে প্রায় অর্ধেক রান হয়ে যায়। ১৩৩ ওভারের খেলা হওয়ায় বাকি রান তোলার জন্য সময় পাওয়া যায়। আজ প্রথম সেশনে উইকেট পড়েনি।” জয়জিৎ বলেন “দুটো হান্ড্রেড হোলে ৫০০ সহজ হয়। সেখানে আমাদের একটা ২০০ এবং দুটো ৮০-৯০ রানের ইনিংস এসেছেন ফলে খেলা সহজ হয়ে গিয়েছে।” বিকাশ সিং এই বছর খেলছেন ব্যাটিং অর্ডারে দীপ চ্যাটার্জীর আগে। তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী জয়জিৎ। তিনি বলেন “বিকাশ এইবছর অনুর্ধ-২৫ খেলেছে এবং ভালোই খেলেছে। ওকে আমরা আগে পাঠাই যেহেতু ও অনেকক্ষণ বল করেছে তাই ও পিচ ভালো রিড করতে পারতো।”
দলের এক্স-ফ্যাক্টর কি? জয়জিৎ বসু পুরোনো ইন্টারভিউতে উইলোর উইলকে বলেছিলেন দলের একতার কথা। আজও তার গলায় একই সুর, তার কথায় দলের মধ্যে একতা থাকলে যে কোনো রান তাড়া করা বা কঠিন সময়ে খেলাই বেশ সহজ হয়ে যায়।