“উইকেট এতটাই ভালো ছিল যে আমরা জানতাম আমরা রানটা তাড়া করে ফেলবো যদি আমরা এক এক সেশন ধরে ব্যাট করি।”- নাভেদ আহমেদ।

দেশবন্ধু পার্কে ফার্স্ট ডিভিশন কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান এবং টাউনের মধ্যে ম্যাচের ভাগ্য দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। শুরুতে অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং ঋষভ মিশ্রর দেওয়া ভালো সূচনা মোহনবাগানকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেয় এবং সেই জায়গা থেকে আয়ুষ কুমার সিং এবং অরিন্দম ঘোষের হাফসেঞ্চুরিতে মোহনবাগান যে বড়ো রানের স্বপ্ন দেখেছিল, নিজের ৮৭ রানের ইনিংস দিয়ে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে বোর্ডে ৫৪৫ রান তোলে মোহনবাগান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ষোলো বছর বয়সী প্রতিভাবান অগ্নিশ্বর দাস এবং অভিজ্ঞ অধিনায়ক নাভেদ আহমেদ একটি স্থিতধী শুরু করেন। ৯৩ বল করে ২৯ রান করে অগ্নিশ্বর আউট হলে ইনিংস টেনে নিয়ে যান নাভেদ। দ্বিতীয়দিন শেষদিকে শুভঙ্কর বল এবং সুজিত যাদব তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলে সেই ক্ষতিপূরণ অনেকটাই করে দেন আজাজ আনসারী। এরপর যখন টাউন ক্লাবের অষ্টম উইকেটের পতন হয়, তখনও বোর্ডে বাকির খাতায় প্রায় দেড়শো রান। অসম্ভবের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসেন মহম্মদ কাইফ। ৮৭ বল খেলে ৪টি চার ও ৮টি ছয় মেরে ৯৬ রান পূর্ণ করেন তিনি এবং তৃতীয় দিনের শেষবেলায় ১৪ বলে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ রান করে জয় হস্তগত করেন গীত পুরি, আজাজ অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে।

কি ছিল টাউন ক্লাবের প্ল্যান? অধিনায়ক নাভেদ আহমেদ বলেন, “উইকেট এতটাই ভালো ছিল যে আমরা জানতাম আমরা রানটা তাড়া করে ফেলবো যদি আমরা এক এক সেশন ধরে ব্যাট করি। প্রথম ইনিংসে রানটা একটু বেশী হয়ে গেলেও আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা ভালো ব্যাট করবো।” নাভেদ আরো যোগ করেন,”আমাদের দলে সবাই খুব পসিটিভ ব্যাটিং করে। তোমার(সন্দীপ তোমার), বল(শুভঙ্কর বল), সুজিত সবাই ভালো ব্যাট করে। যাঁরা পসিটিভ ব্যাট করে তাঁদের একটু সাপোর্ট পেলেই কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমাদের সবাই খুব ভালো ব্যাট করেছে, সক্ষম-আজাজ প্রত্যেকেই।”

টাউনের হয়ে অল্প বয়সে বেশ বিক্রম দেখিয়েছেন অগ্নিশ্বর দাস। মোহনবাগানের বোলারদের বিরুদ্ধে ৯৩ বলে ২৯ রান করা কখনোই সহজ নয় একজন ষোলো বছরের ছেলের পক্ষে। নাভেদ আহমেদ তার ওপেনিং সঙ্গীর সম্মন্ধে বলেন, “অগ্নিশ্বর দুর্দান্ত প্লেয়ার, খুবই প্রতিভাবান। প্রায় দেড় দিন ফিল্ডিং করার পরে যখন দলের ওপেনার ৯০ বল ব্যাট করে এবং দুই ঘন্টা ব্যাট করে তবে সেটা দলের অন্য ব্যাটারের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যায় নিজেকে প্রস্তুত করতে।”

অষ্টম উইকেট চলে যাওয়ার পরে মহম্মদ কাইফকে কি বলেছিলেন? নাভেদের কথায়, “কাইফ বেশ আক্রমণাত্মক একজন ব্যাটার, বড়ো শট নিতে পারে। আমাদের রান সবসময় ৪-৪.৫০ রেটে চলছিল এবং ওরা সেটাই ধরে রেখেছে। উইকেট ভালো ছিল বলে রান তুলতে সমস্যা হয়নি।”