রাহুল দ্রাবিড়, আপনার কাছে জানতে চাইছি।
দেশের হয়ে খেলা টেস্টের কথা কেউ ভোলে না, আপনিও নিশ্চয়ই ভোলেননি। বাঙালির সেই অতি প্রিয় লর্ডস টেস্ট, শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২০শে জুন। আপনার মনে আছে প্ৰথম দিন যখন ফিল্ডিং করছিলেন বা দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ের সময় বল কেমন স্যুইং করছিল? গত তিরিশ বছরে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত জুন মাসে মাত্র তিনটে টেস্ট খেলেছে যার মধ্যে ওটা একটা। ১৫ বছরের বেশি দীর্ঘায়িত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে টেস্ট ও ওয়ান ডে খেলতে চারবার এবং একবার বিশ্বকাপ (মে/জুন) খেলতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাই শুধু নয় (এছাড়াও কাউন্টি খেলেছেন ওদেশে), দুনিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা স্লিপ ফিল্ডারদের একজন হিসেবে, ইংল্যান্ডসহ দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে দীর্ঘদিন কিপিং করার অভিজ্ঞতা থেকে আপনার কী মনে হয়? ইংলিশ সামারের প্ৰথমভাগে যখন বল ইচ্ছে মতো মুভ করবে, পরিবেশ স্যুইং বোলিংয়ের আদর্শ থাকবে, ব্যটারকে পেরিয়ে যাওয়ার পরও বলের মুভমেন্ট অব্যাহত থাকবে তখন বিশ্বটেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মতো মেগা ম্যাচে যেখানে একটা ক্যাচ ফলাফল বদলে দিতে পারে সেখানে আন্তর্জাতিক স্তরে কখনোই বিদেশে কিপিং না করা, টেকনিক্যাল ত্রুটিযুক্ত শ্রীকর ভরত বা অভিষেক না হওয়া ঈশান কিষানের উপর নির্ভর কারাটা কি শুধুই ঝুঁকিপূর্ণ নাকি একই সঙ্গে মূর্খতাও?
হ্যাঁ, আপনি বলতেই পারেন যে সব সিদ্ধান্ত আপনার একার নয়, নির্বাচকদের অথবা দলের স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত। ঠিক যেভাবে অধিনায়ক থাকাকালীন সৌরভসহ সব বিতর্কিত ইস্যুতেই নিজের দায় এড়িয়েছেন, কিন্তু সত্যি কি এই সিদ্ধান্তের পেছনে আপনার হাত নেই? বিশ্বাস করি না। বরং বিশ্বাস করি, আপনার অঙ্গুলিহেলনেই এই সিদ্ধান্ত, সে আপনি ভবিষ্যতে যতই এই বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখুন না কেন। আপনার ‘ইগো’ই কি এখানে বড় বা একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়ালো? এছাড়া কোন ক্রিকেটীয় কারণ দেখা যাচ্ছে না ঋদ্ধিকে অন্তত ফাইনালের জন্য স্কোয়াডে না নেওয়ার পেছনে।
ওভালে ঋদ্ধি বিনা আপনার সিদ্ধিলাভ হতেই পারে, ভারতীয় দলের সমর্থক হিসেবে চাই যে দল ওভালে জিতুক এবং আপনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিয়ে ফিরুন কিন্তু তারপরও বলবো আজকে নেওয়া সিদ্ধান্তটা বড় ভুল। পন্থের দুর্ঘটনার পরই আপনাদের উচিত ছিল ঋদ্ধির নামে টিকিট বুক করা, তারপরও মহানুভব ক্রিকেট দেবতা আপনাদের আরও একটা সুযোগ দিলো। কিন্তু আবারও আপনি অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিলেন, যেটা ব্যাট হাতে দিতেন না কিন্তু কোচ হিসেবে প্রায়ই দিচ্ছেন। দেখে খুব খারাপ লাগছে। শুধুই যেন মনে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিয় ‘দেওয়াল’ দাঁড়িয়ে আছে ঠিকই কিন্তু পক্ষপাতের দিকে হেলে গেছে!
রাহুল স্যার, আপনি ধন্য। আপনাকে খুব শ্রদ্ধা করি। আপনার এত ইগো জানতাম না। ইগো একটা মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি Wriddhi নিয়ে কথা বলছিনা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আপনাকে বলছি। এই মুহূর্তে Wriddhi যা form তাতে কি Wriddhi সুযোগ পাওয়ার জন্য ঠিক নয়। আপনার ইগো কারনে – ধাওয়ান এর মতো খেলয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে। অফ ফমে থাকা রোহিত সুযোগ পাচ্ছে ক্যাপ্টেন বলে।