গতকাল গোয়েশপুর স্টেডিয়ামে খিদিরপুর স্পোর্টিংকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সিএবির সুপার ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মহামেডান স্পোর্টিং। শুরুতেই কোচ অয়ন শুভ্র মুখার্জী ‘উইলোর উইল’কে বলেছিলেন যে তাঁদের এবারের লক্ষ্য সুপার ডিভিশনে কোয়ালিফাই করা এবং তারপরে সি গ্রুপের প্রতিটি প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে আজ সেই লক্ষ্য পূর্ণ করেছে দল। তাঁদের এই জয়ের রেসিপি হিসেবে থেকেছে আদিত্য পুরোহিতের অনবদ্য ব্যাটিং, জয়জিৎ বসু-গীতিময় বসুর ব্যাটিং, নিচের দিকে রবিকান্ত শুক্লার অবদান এবং বল হাতে নীলকণ্ঠ-অলোকপ্রতাপ-বিকাশ সিং-বৈভব যাদবের বোলিং।
আজ রাজস্থান মাঠে অফিস প্র্যাক্টিসের পরে সরাসরি ইন্টারভিউ দিলেন মহামেডান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জয়জিৎ বসু।
প্রশ্ন:- দলের এক্সফ্যাক্টর কি?
জয়জিৎ:- দল একটা ইউনিট হিসেবে খেলছে এবং কেউ ব্যক্তিগত পারফরমেন্সকে প্রাধান্য দিচ্ছেনা। এটাই আমার মতে এক্স-ফ্যাক্টর।
প্রশ্ন:- বোলিং কি একটু চিন্তার?
জয়জিৎ:- আমার চিন্তার জায়গা সেরকম নয়। নীলকণ্ঠ-অলোক-বৈভব-বিকাশ-আকাশ সবাই ভালো বোলিং করছে। একমাত্র আরিয়ান দল ২৫০ রানের বেশী তুলেছিল আমাদের সঙ্গে এবং আমরা চেজ করে জিতেও গেছি। আমার মনে হয়না বড়ো মাঠে আমাদের বিপক্ষে বড়ো রান তোলা খুব সহজ হবে।
প্রশ্ন:- তুমি নিজে এবং আদিত্য পুরোহিত, গীতিময় বসু। টপ অর্ডার কতটা শক্তিশালী? ( কি বলবে?
জয়জিৎ:- ভালো তো খেলেইছে। ক্রিকেট হলো বল টু বল খেলা এবং ব্যাপারটা ধরে নিয়ে যেতে হবে। এরপর আমাদের লক্ষ্য হলো প্রি-কোয়ার্টার, কোয়ার্টার ভালো খেলা। এরপর আমাদের সেই ধারাবাহিকতা রাখতে হবে কারণ এরপর যারা আসবে তারা অনেক ম্যাচ জিতে আসবে। টার্গেট লিগ জেতা।
প্রশ্ন:- মহামেডান কি এবার অনেক টিমকে চমকে দিতে পারে?
জয়জিৎ:- আমি কোনোদিনই এভাবে খেলিনি যে কোনো টিম কাউকে চমকে দিতে পারে। এগুলো খাতায় কলমে হয়। মাঠে যে ভালো খেলে সেই ম্যাচ যেতে। আমি এতবছর মোহনবাগান খেলেছি, অন পেপার এগিয়ে থেকেও সব ম্যাচ জিতিনি। যে ভালো খেলবে সেই ভালো খেলবে। চমকানোর কিছু না।
প্রশ্ন:- তিনদিনের খেলা এবার..
জয়জিৎ:- এটা একটা নতুন ফরম্যাট বলতে পারো। আমাদের অনেকে তিনদিনের খেলা খেলেছে, ফার্স্ট ক্লাসও খেলেছে। তবে গরম কিভাবে সামলানো হচ্ছে তাঁর ওপর নির্ভর করবে অনেকটাই। আসল চ্যালেঞ্জ হলো গরম।
প্রশ্ন:- জয়জিৎ বসুর রান ৫০০। নামের বিচারে কম হলোনা?
জয়জিৎ:- আমার গড় কিন্তু ৬৪! তুমি বলতে পারো পঞ্চাশ বেশী করেছি। কিন্তু আমি খুশি। বি, সি গ্রুপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে প্রথম ৬ জনে ৪জন আমাদের। আমি ১০০০ রানেও খুশি হতাম না আজও ৫০০ রানে খুশি নয়। দলের জন্য উইনিং অবদান রাখতে চাই।
প্রশ্ন:- মহামেডান কি সুপার লিগেও নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রাখবে?
জয়জিৎ:- বল অনুযায়ী খেলাই আসল। সুপার লিগে যদি মারার বল পায় মারবে, যদি না পায়ে ডিফেন্স করবে। এটা ‘গেম অফ রিঅ্যাকশন’। যেইভাবে বল আসবে সেইভাবেই খেলতে হবে।