দলে বড়ো চমক বড়িশার। মূলত ইয়ং ব্রিগেড নিয়ে তৈরী দল।

ময়দানে অন্যতম পরিচিত বড় ক্লাব হলো বড়িশা ক্লাব। একাধিক বড় তারকা খেলোয়াড় খেলে গিয়েছেন এই ক্লাবে।
২০২২-২৩ সালের মরশুমের জন্য ২রা সেপ্টেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে সই করলো বড়িশা ক্লাব। বড়িশা ক্লাবেই এই বছর সই করেছেন গতবছর তাঁদের অধিনায়ক ঋত্বিক রায়চৌধুরী। থেকে গিয়েছেন করণ লালের মতো উঠতি ক্রিকেটারও। এছাড়াও ভবানীপুর ক্লাব থেকে গিয়েছেন প্রতিভাবান কিপার ব্যাটার অগ্নিভ পান, ব্যাটার অরিন্দম ঘোষ।

মোহনবাগান ক্লাব থেকে কনিষ্ক শেঠ গিয়েছেন বড়িশা ক্লাবে। এছাড়াও রয়েছেন মুকেশ কুমার।
গত মরশুমের অধিনায়ক ঋত্বিক রায়চৌধুরী বললেন “সব সময় ট্রফি জেতার এক্সপেকটেশন থাকে এবং তাই আমরা এখানে। বেশি কিছু এখনই বলতে চাইনা। আমরা ভালো শুরু করতে চাই, মজা করে খেলবো, জেতার জন্য খেলবো।” টিম ব্যালান্স সম্পর্কে ঋত্বিক বলেন “সিনিয়র, জুনিয়র ব্লেন্ড ভালোই আছে। আমরা সব বেসিক কভার করে দল করেছি। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং সবচেয়ে বড়ো কথা সম্পূর্ণ জার্নিকে উপভোগ করতে হবে।”
কেন মোহনবাগান থেকে বড়িশা ক্লাবে গেলেন কনিষ্ক শেঠ? কনিষ্ক বলছেন “কারণ কিছুই নয়। সবাই আমার বয়সী ক্রিকেটার, জুনিয়র লেভেল থেকে একসাথে খেলেছি। আবারও একসাথে খেলতে চাই।” মরশুমে কিরকম পারফরমেন্স করার ইচ্ছা কনিষ্কর? বললেন “এই মরশুম ভালো করতে হবে কারণ আগের মরশুম খুব ভালো হয়নি। বেশি খেলিনি কারণ কেকেআর ক্যাম্পে ছিলাম। চেষ্টা করবো ট্রফি জেতার।” কেকেআর ক্যাম্পে থাকা নিয়ে কনিষ্ক বলেছেন “আমি খুব সমৃদ্ধ হয়েছি কেকেআর ক্যাম্পে। আগের বছর কোচরা খুশি হয়েছেন। এইবছর যদি সিনিয়র লেভেলে ভালো খেলতে পারি,মুস্তাক আলি ট্রফিতে সুযোগ পেয়ে ভালো খেলতে পারি তবে কেকেআরে হয়তো চান্স আছে।”
সদ্য আইপিএল, রনজি নক-আউট খেলে আসা আকাশদীপ এবার মোহনবাগান ছেড়ে বড়িশায় যুক্ত হওয়ার কারণ বললেন “আমি প্রতি ২-৩ বছর বাদে নতুন ক্লাবে যেতে চাই। এবার বড়িশায় একটা চেনা সার্কল রয়েছে, তাই খেলতে ভালো লাগে।” আকাশ নিজের খেলা সম্মন্ধে বলেন “আরসিবি ক্যাম্পে মাইন্ডসেট নিয়ে অনেক কিছু শিখেছি এবং অনেক উন্নতি করেছি বলেই মনে করি। আমি নিজের বেসিকেই থাকতে চাই, আমি দলীপ ট্রফি, আইপিএল, রনজি ট্রফি এভাবে ব্যাপারটা ভাবিনা। আমি আমার শক্তি অনুযায়ী বল করি।”
ভালো পারফরমেন্স করার জন্য অন্যবারের মতো এবারও বড়িশা ক্লাব মুখিয়ে রয়েছে।