প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া মিতালীতেই প্রাণসঞ্চার ভারতে।

সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম ভাইরাল হয়। সেই মিমের সারবত্তা এই যে যত কম বল খেলেন মিতালী, ভারতের জেতার চান্স যেন বাড়তে থাকে ততই।

মহিলা ওডিআই খেলায় শেষ তিন বছরে মিতালী রাজের স্ট্রাইক রেট নেমেছে ৬৭তে। এবং শেষ দুটি বছর দেখলে সেই স্ট্রাইক রেট ৬৯। এখন দৃশ্যতই এই স্ট্রাইক রেট বর্তমানের কোনো ওডিআই দলের জন্যই খুব ভালো নয় এবং অনেক সময়ই মিতালী দলের জন্য হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন ‘বটলনেক’। অর্থাৎ দলের একটি নিরাপদ রানে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হচ্ছিলো তাঁর এই স্ট্রাইক রেট।

আজ মিতালী রাজকে পাওয়া গেলো যেন অন্য ছন্দে। অনেক বেশী স্বচ্ছন্দ, অনেক বেশী আক্রমণাত্মক। শাবনিম ইসমাইল, মারিজান কেপ এবং আয়াবঙ্গা খাকা – তিন প্রোটিয়া বোলারকে ভাঙার যে কাজ স্মৃতি মান্ধানা এবং শেফালী ভার্মা শুরু করেছিলেন তাকেই যেন পরিবারের বড়ো দিদির মতো আগলে রেখে এগিয়ে নিয়ে গেলেন মিতালী। আজ তাঁর খাতায় ৮৪ বলে ৬৮ অন্যদিনের থেকে স্ট্রাইক রেটের অনুপাতে বেশী হলেও তা আসলে সবটা নয়। এই ইনিংসের মূল্যায়নে আসবে বেশ কিছু ফ্যাক্টর:

১) ভারতের ‘মাস্ট উইন’ অবস্থা

২) মিতালীর প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া কেরিয়ারের পুনরুদ্ধার

৩) দ্রুত উইকেট চলে যাওয়ার পর সামাল দেওয়ার কাজ 

আজ সব নিয়ে একেবারে ডিস্টিঙ্কশন সমেত পাস মিতালী। যাস্তিকা ভাটিয়ার উইকেট পড়ার পর যে যাত্রা মিতালী শুরু করেন তাতে আজ শুধু টিঁকে থাকার লড়াই ছিলোনা বরং ছিলো ভারতের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই। এই লড়াই লড়তে হলে দরকার ছিলো শটের এবং আজ ‘লফ্টেড শট’ বা ড্রাইভ দিয়ে সেই দরকারী কাজই করে গেলেন মিতালী।

মিতালীর ফিরে আসা বাদে স্মৃতির ঝকঝকে ৭১, শেফালীর দুর্ভাগ্যজনক রান-আউটে শেষ হওয়া ৪৬ বলে ৫৩ এবং হরমনপ্রীত কৌরের ৪৮ কোথাও খুব আশাজনক। কিন্তু এতো কিছুর মধ্যেও মিতালীর এই ফিরে আসা নক-আউট স্তরে যদি ভারত কোয়ালিফাই করে তবে একটি ভালো ইঙ্গিত।