এভাবেও ফিরে আসা যায়

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে যেভাবে মধ্যবর্তী ওভারগুলোয় একের পর এক উইকেট হারিয়ে খাদের ধারে চলে গিয়েছিলো তাতে উপযুক্ত হেডলাইন হয়তো হতো এটাই।
শুরুতেই শেফালী ভার্মাকে হারিয়ে যে লড়াই নিজেদের জন্য কঠিন করে ফেলেছিলো ভারত তাতে যেন কিছুটা প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্মৃতি মান্ধানা (৫২)এবং দীপ্তি শর্মা (৪০)। নিজেদের মধ্যে তাঁরা ৯২ রানের পার্টনারশীপ করে ভারতের রানরেট ৪ পার করে দিয়েছিলেন।
এরপরে মিতালী রাজ আসায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ধীরগতির খেলা বেশ চাপ বাড়াতে থাকে ভারতের ওপর। ৩৬টি মূল্যবান বল খেলে মাত্র ৯ রান তিনি করায় তা চাপ বাড়ায় দলের ওপর। এবং পরপর ফিরে যান হারমানপ্রীত কৌর (৫), রিচা ঘোষ (১)।
এরপর ইনিংসের হাল ধরেন স্নেহা রানা এবং পূজা বস্ত্রাকর। দুজন ইনিংসের একমাত্র সেঞ্চুরি পার্টনারশীপ করেন। নিজেদের মধ্যে দ্রুত গতিতে রান করে মাত্র ১০০ বলে ১২২ রান করেন এবং ইনিংসের একদম শেষ ওভারে পূজা বস্ত্রাকর ৬৭ রান করে ফিরে গেলেও স্নেহা রানা অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে এবং শেষদিকে ঝুলন গোস্বামী ব্যাট চালিয়ে ৬টি রান করায় ভারত পৌঁছয় ২৪৪ রানে।

ছবি : বিসিসিআই


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝুলন গোস্বামীর প্রথম বলেই সিদ্রা আমীন একটি ভালো শটে ২ রান নিলেও সেই উৎকৃষ্টতা রাখতে পারেননি কোনো পাকিস্তানী ব্যাটার। ওপেনার জাভেরিয়া খান (১১), অধিনায়ক বিষ্মাহ মারুফ (১৫), ওমাইমা সোহেল (৬), নিদা দার (৪) সবাই হন ব্যর্থ। শেষদিকে ডায়ানা বেগ ২৪ রান না জুড়লে পাকিস্তানের হাল আরো খারাপ দেখাতো।
ভারতের হয়ে রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ৪টি, ঝুলন গোস্বামী ও স্নেহা রানা ২টি করে, এবং মেঘনা সিং ও দীপ্তি শর্মা ১টি করে উইকেট পান। আর উইকেট-কিপার রিচা ঘোষ ৪টি ক্যাচ ধরেন ও ১টি স্টাম্পিং করেন।
আজ জয় পেলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা চাপে রাখবে ভারতকে।