মুখোমুখি নদীয়া অধিনায়িকা মিতা পাল।

এ যেন এক মধুর প্রতিশোধ। বিগত মার্চের ১৭ তারিখ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ডিস্ট্রিক্ট-এর ওয়ান-ডে ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল হুগলি এবং নদীয়া দল। অর্ণব নন্দীর নেতৃত্বে সেদিন নদীয়া দলকে পর্যুদস্ত করে ট্রফি ঘরে তোলে হুগলি রিভার্স।

তার ঠিক ১৯ দিন পরে অর্থাৎ ৬ই এপ্রিল, কোচবিহার স্টেডিয়ামে সেই হুগলি দলকে হারিয়েই ডিস্ট্রিক্ট টিটোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হলো নদীয়া মহিলা দল।

ফাইনালে হয়েছিল মাত্র ৬ ওভারের ম্যাচ এবং হুগলীর তোলা ২১ রান মাত্র ৩.৩ ওভারেই ছাপিয়ে যায় নদীয়া। ফাইনালে ম্যাচের সেরা হন মিতা পাল। একই সঙ্গে তিনি সেমিফাইনাল ম্যাচেও ছিলেন সেরা।

সমগ্র টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন নদীয়া মহিলা দলের খেলোয়াড়রা। অধিনায়ক মিতা পাল, উইকেটরক্ষক প্রিয়াঙ্কা বালা, অভিজ্ঞ ঝুমিয়া খাতুন ছাড়াও বর্ণালী তামূলী, পম্পা সরকার, ইতি সরকার, সুস্মিতা গাঙ্গুলী প্রমুখরাও খেলেছেন ভালো। উল্লেখ্য মহিলা টুর্নামেন্টে ৬-এর বেশী রান-রেট যেখানে থাকেনা সেখানে বীরভূমের বিরুদ্ধে ২২৯ এবং মালদা জেলার বিরুদ্ধে ১৮৯ রান তুলেছিলো নদীয়া দল। এক্ষেত্রে বারবার উঠে আসে টপ থ্রি-র নাম। তার মধ্যে মিতা পাল এবং প্রিয়াঙ্কা বালা হয়ে যান অবিচ্ছেদ্য। প্রিয়াঙ্কা টুর্নামেন্টে সর্বমোট ১৫৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং মিতা ১৪৯ রান করে দ্বিতীয় সেরা। বল হাতেও অঙ্কিতা বর্মন, রূপা দত্ত, মলি মন্ডল ছিলেন উজ্জ্বল।

বর্ণালী তামূলী তো পরিষ্কার বললেন “ম্যাচ শুরুর আগে জেতার আশা অনেকটাই ছিলো কারণ আমাদের দল অনেক ব্যালান্সড ছিলো।” এবং মিতা পাল? আগেরদিন শুধু প্রশ্ন করেছিলাম প্র্যাক্টিসের পর কখন ফাঁকা থাকবেন? যাতে ফোন করে প্রশ্নোত্তর পর্ব সেরে ফেলতে পারি। হঠাৎ আজ সেলফোন বেজে উঠতেই দেখলাম নাম ভেসে উঠলো মিতা পালের। জিজ্ঞেস করলেন কথা বলতে পারবো কিনা? তারপর হয়ে গেলো এক ঝটিকা ইন্টারভিউ।

প্রশ্ন:- কতটা খুশি টুর্নামেন্ট জিতে?

মিতা:- অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। এতো বড়ো টুর্নামেন্ট জিতলে ভালো লাগারই কথা।

প্রশ্ন:- নিজের এই পারফরমেন্স (১৪৯ রান ও ৩ উইকেট) নিয়ে কি বলবেন?

মিতা:- খুবই ভালো লাগছে দলের জন্য পারফর্ম করতে পেরে। দলের জন্য ১০০ শতাংশ দিতে পেরেছি এই অনেক।

প্রশ্ন:- যেখানে অন্য ডিস্ট্রিক্ট ম্যাচে কুড়ি ওভারে ১০০ রান হয়না সেখানে দুবার ২২৯ এবং ১৮৯ এর মতো রান তুললো নদীয়া। কোনো এক্স ফ্যাক্টর আছে?

মিতা:- এক্স ফ্যাক্টর হয়তো না। দুটো ম্যাচেই বালা (প্রিয়াঙ্কা বালা) ভালো খেলেছে, একটাতে ও সেঞ্চুরি করে। এছাড়া ঝুমিয়া অনেক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেলেছে। আলাদা করে ইতির কথাও বলতে হবে, সঙ্গে আমিও খেলতে পেরেছি। এটাই হয়তো এক্স ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছে।

প্রশ্ন:- অধিনায়কত্বের চাপ কতটা পড়েছে নিজের ওপর?

মিতা:- একটুও না। আমি দলকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি এবং ওই নেতৃত্ব দেওয়াটা উপভোগ করি।