১৮৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১৩৩ বছরের ইতিহাসে কখনও একসঙ্গে দুজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেন বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের তালিকায় রাখেনি। ব্যতিক্রম হিসেবে থেকে যাবে এই ২০২২। এবার উইজডেন অ্যালমানাক যে ৫ জন ক্রিকেটারকে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন ভারতের রোহিত শর্মা এবং যশপ্রীত বুমরা। বাকি ৩ জন হলেন ডেভন কনওয়ে, ওলি রবিনসন এবং ভ্যান নিয়েকআর্ক। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৫ জনের জায়গায় সেবারের উইজডেন সম্পাদক ৪ জন ক্রিকেটারকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পাকিস্তান গড়াপেটায় যুক্ত থাকার কারণে তিনি কোনও পঞ্চম ক্রিকেটারকে বেছে নেননি।
কিন্তু এবার? এখনকার সম্পাদক লরেন্স বুথ ২০২২ সংস্করণের উদ্বোধনের পর “উইলোর উইল”-কে বললেন, ‘ট্র্যাডিশন ভাঙতেই হল। কারণ গত গ্রীষ্মে রোহিত এবং যশপ্রীত সত্যিই খুব ভাল খেলেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সিরিজে রোহিত ৩৬৮ রান করেছিল। তার মধ্যে ওভালের ১২৭ রান তো আমরা ভুলতে পারব না। যেমন পারব না যশপ্রীত বুমরার অসাধারণ বোলিং। বুমরাই তো ভারতকে সিরিজে চাঙ্গা রাখতে পেরেছিল। আমি মনে করি, ভারতবর্ষ এখন বিশ্ব ক্রিকেটের প্রবলতর শক্তি হয়ে উঠতে পেরেছে এই দুজন ক্রিকেটারের জন্য।’
ডেভন কনওয়ের কথা বলতে গিয়ে লরেন্স জানালেন, ‘জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। খেলছে নিউজিল্যান্ডের হয়ে। লর্ডসে আবির্ভাবে ডবল সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে সবার নজর কেড়েছিল। শেষবার নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতেছিল বিলেতে ১৯৯৯ সালে। আর গতবার নিউজিল্যান্ড জিতল ওই কনওয়ের জন্য।’
ওলি রবিনসনকে পেয়ে ইংল্যান্ড উচ্ছ্বসিত। সব মিলিয়ে গোটা মরশুমে ২৮ উইকেট পাওয়াকেই কৃতিত্ব দিলেন সম্পাদক, ‘আবির্ভাবেই চমক। এবং আমরা দেখলাম, মরশুম জুড়ে উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে ওলি কিন্তু অসাধারণ হয়ে উঠল।’
ভ্যান নিয়েকআর্কের কথা বলতে গিয়ে লরেন্স বললেন, ‘ওভাল ইনভিনসিবলসকে ১০০ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে নিয়েকআর্কের ধারাবাহিকতা ছিল অতুলনীয় এবং ওই ছিল ক্যাপ্টেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে চমৎকার স্পিন বোলিং করানোর ক্ষেত্রে অদ্ভুত কৃতিত্ব দেখাল মরশুম জুড়ে।’