লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ব্যাটারের প্যাড, ব্যাট, শরীরকে ফাঁকি দিয়ে উইকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে এতটাই সিদ্ধহস্ত ছিলেন যে, কিছু বোঝার আগেই ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরতে হত। ১৯৯৩ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মাইক গ্যাটিংকে যেভাবে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেছিলেন, সেভাবেই ২০০৪ বেঙ্গালুরু টেস্টে ভিভিএস লক্ষ্মণকেও বোল্ড করেছিলেন শেন ওয়ার্ন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির নতুন ডিরেক্টর তাঁর একতলার চেম্বারে বসে বললেন, ‘বহুবার ভিডিওতে গ্যাটিং ডেলিভারি দেখেও বোল্ড হয়েছিলাম। বুঝতেই পারিনি। এটুকু বলতে পারি, ওই ডেলিভারিটা খেলা উচিত ছিল। বাঁ পা যতটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, তা স্ট্রেচ করতে পারিনি। আমার ভুল। ডেলিভারিটা একই প্যাটার্নের। তবে গ্যাটিং ডেলিভারিটা ছিল অসাধারণ, বিপজ্জনক। পা বাড়িয়ে খেললে হয়তো বেঁচে যেতাম। কিন্তু মাইক গ্যাটিং কেন, অনেক আচ্ছা আচ্ছা ব্যাটার ওই ডেলিভারিতে আউট হয়ে যেত।’
কাকার বাড়িতে ডিনার করতে করতেই পেয়েছিলেন শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর খবর, ‘তখন সন্ধে পেরিয়েছে সবে। মোবাইলে একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ আসছিল। বিশ্বাস করিনি শুরুতে। আমরা এক অসাধারণ শিল্পীকে হারালাম।’ ওয়ার্ন বহুবার বলেছেন যে, তাঁর যে কোনও ডেলিভারিতে লক্ষ্মণ অন্তত দু’রকমের স্ট্রোক নিতে পারতেন। যে বলটা মিড উইকেট বাউন্ডারিতে পাঠানোর কথা, তা লক্ষ্মণ চাইলে ইনসাইড আউটে কভার–এক্সট্রা কভার বাউন্ডারিতে পাঠাতে পারতেন। এমন প্রশংসার কথা লক্ষ্মণও জানেন, ‘কিন্তু ওয়ার্নির কাজটা ছিল কঠিন। ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ৭০৮ উইকেট তুলে নেওয়ার জার্নিটাও অসাধারণ।’