অবিশ্বাস্য লড়াই দেখলো সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলো পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফ্রিকান ফাস্ট বোলারদের দাপটে শুরুতেই চার উইকেট হারানো পাকিস্তান যখন চোদ্দতম ওভারে ১০০ রানের গন্ডি পার করছে তখন তাদের অতি বড় সমর্থকও ভাবেনি যে শেষ পর্যন্ত তারা ১৮৫ রানে গিয়ে থামবে। ডেথ ওভারে শাদাব খান এবং ইফতিকার আহমেদের ঝোড় ব্যাটিং পাকিস্তানের ইনিংসকে জেতার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়।
প্রত্যুত্তরে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতে দুই উইকেট হারালেও বাভুমা এবং মারক্রাম মিলে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। এই অবস্থায় বৃষ্টি নামলে অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকা সুবিধাজনক জায়গায় থাকতো। কিন্তু বৃষ্টির ঠিক আগেই শাদাব খানের এক ওভারে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় প্রোটিয়ারা। ডাকওয়ার্থ লুইসে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ শাদাবের ওই ওভার। ফলে খেলা শুরুর পরেও টার্গেট অনেক বেড়ে যায়।
এই জয়ের পরও পাকিস্তানের সেমিফাইনাল সম্ভাবনা বদলায়নি। তারা এখনো দৌড়ে পিছিয়েই আছে। পয়েন্ট ও রানরেটে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ ‘২’ থেকে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকারই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শেষ চারে যাওয়ার বাস্তবিক সম্ভাবনা ক্ষীণ বলাই শ্রেয়। তবে এই দুই দলই সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ম্যাচটা জিতে মাথা উঁচিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে চাইবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের লক্ষ্যটাও অভিন্ন। যে কারণে এই দুই দলের ম্যাচটা আকর্ষণীয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।