মঙ্গলবার বার্মিংহামে ছিল আইসিসির বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে আরো তিনটি নতুন দেশকে সদস্যপদের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এর ফলে আইসিসির মোট সদস্য সংখ্যা এখন ১০৮ এ দাঁড়াল, যার মধ্যে ৯৬টি দেশ সহযোগী সদস্য।
এশিয়া মহাদেশ থেকে কম্বোডিয়া এবং উজবেকিস্তান ও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আইভরি কোস্টকে সহযোগী সদস্য পদের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আইসিসিতে মোট এশিয়ান দেশের সংখ্যা এখন ২৫টি ও আফ্রিকার ২১টিতে উন্নীত হল।
আইসিসি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন সদস্য পদ পাওয়ার জন্য যে মানদণ্ড থাকে তা তিনটি দেশ পূরণ করেছে।
যেমন- নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনকে সদস্যপদ পাওয়ার মানদণ্ড ধরা হয়। অন্ততপক্ষে ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। সঠিক কাঠামো তৈরির পাশাপাশি বয়সভিত্তিক ও মহিলা দল থাকা বাধ্যতামূলক।
নতুন সদস্যপদ পাওয়া তিনটি দলের যে কার্যক্রম চলছে:
**ক্রিকেট ফেডারেশন অফ উজবেকিস্তানের (সিএফইউ) ১৫টি মহিলা দল নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ খেলোয়াড়দের জন্য একটি পরিকল্পনায়সহ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছে।
**আইভরি কোস্ট ক্রিকেট ফেডারেশনের একটি শক্তিশালী তৃণমূল কর্মসূচি রয়েছে। আট দল নিয়ে ছেলেদের সিনিয়র পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এছাড়া মেয়েদের ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে একজন মহিলা বোর্ড সদস্য নিয়োগের মতো বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
**মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেট পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়ার পথে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ কম্বোডিয়া। তবে বছর শেষের আগেই মেয়েদের ক্রিকেটে অগ্রগতির হওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিতে সক্ষম হয়। আগামী নভেম্বরে আট দলের অংশগ্রহণে তারা টি-টিয়েন্টি আসরের আয়োজন করবে। আটটি স্কুলে ইনডোর ক্রিকেট কার্যক্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
**কম্বোডিয়ায় ১৪টি নিবন্ধিত দল নিয়মিতভাবে ছেলেদের সিনিয়র পর্যায়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে। স্থানীয় কোচদের সমন্বয়ে একটি প্রতিশ্রুতিশীল জুনিয়র ক্রিকেট প্রোগ্রামও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইসিসির সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। দেশটিতে ক্রিকেট কার্যক্রম নিরাপদে পুনরায় শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাদের আবেদন স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আইসিসি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেন ক্রিকেট ফেডারেশনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।