মুক্তি পেল “দ্য ড্রিম”। সরাসরি কলাকুশলীরা।


নিউ টাউনের নজরুল তীর্থ। নব্য এক সিনেমাহলের আরামপ্রদ কেদারায় প্রায় জনাপঞ্চাশ দর্শকের সামনে মুক্তি পেল কুন্তল ঘোষাল-নিশা পোদ্দার-দীপ্তলোক চ্যাটার্জী-দেবাঙ্কনা ভট্টাচাৰ্য অভিনীত এবং রাজকুমার সোয়েন-বাপ্পাদিত্য নন্দী পরিচালিত ছবি ‘দ্য ড্রিম’।


একজন উঠতি ক্রিকেটারের বাংলা দলে নির্বাচিত হওয়ার কাহিনী নিয়েই তৈরী হয়েছে এই ছবির চিত্রনাট্য। ছবিতে মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ অংশুমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কুন্তল ঘোষাল এবং নায়িকা অর্থাৎ রিজার চরিত্রে রয়েছেন নিশা পোদ্দার। অংশুমানের বন্ধুর চরিত্রটি অভিনয় করেছেন মোহনবাগান ক্রিকেটার দীপ্তলোক চ্যাটার্জী। মহামেডান ক্লাবের একজন ক্রিকেটার কিভাবে ভালো খেলে নির্বাচিত হয় বাংলা দলে, এবং তার বাবার ঠিক করা অন্য কেরিয়ার বাছাইতে চলে যেতে হয় এবং এরপর সে কিভাবে ফিরে আসে ক্রিকেটের মূলস্রোতে, তাই নিয়েই এগিয়েছে গল্পটা। এছাড়াও রয়েছে আরো টুইস্ট এবং তা দেখার জন্য দর্শককে আসতে হবে হলে।


ছবির নায়ক কুন্তল ঘোষাল ছিলেন উৎসাহের চরম সীমায় এবং সপরিবারে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল নিজের প্রথম ছবি নিয়ে আনন্দ একেবারে তুঙ্গে। ছবির বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে এবং অবশ্যই বিভিন্ন আবেগপ্রবণ দৃশ্য অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কুন্তল।
ছবির পরিচালক বাপ্পাদিত্য নন্দী বলেছেন,”পরিচালক হিসেবে কখনোই ১০০ শতাংশ খুশি হতে পারিনা, তবে দর্শকের ভালো লাগবে এই আশ্বাস দিতে পারি।” বাবা-ছেলের সম্পর্ক নিয়ে তিনি আরো যোগ করেছেন, “বাবা-ছেলের সম্পর্ক বলতে, স্বপ্ন দেখতে গেলে আমি প্রত্যেক বাবাকে বলবো সন্তান যা চাইছে তাঁদের তা করতে দিতে। কারণ চিন্তাধারা বদলেছে এবং সবসময় যে বড়োরা ঠিক হবে তা নয়। তাদের চিন্তাধারা মূল্য দিতে হবে।”
অন্য পরিচালক রাজকুমার সোয়েন বললেন “ছবিটি তৈরী হওয়ার পর আমি খুশি নয়। একজন স্রষ্টা হিসেবে আমি মনে করি আরো ভালো করা যেত। ১০০ এর মধ্যে নিজেকে ৯ বা ১০ দেবো।” তিনি আরো যোগ করেন “আশা বললে ভুল হবে কারণ অনেক ছবি বেরোচ্ছে এবং স্রষ্টা হিসেবে আমার মনে হচ্ছে যে এই জায়গাটা অনেক ভালো হতে পারতো। এরপর আমি সম্পূর্ণ বিচার দর্শকের ওপর ছাড়ছি।”
অভিনেত্রী নিশা পোদ্দার এর আগে ছোটোপর্দায় অনেক ভালো কাজ করলেও এটি তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিনেমা। নিশার বক্তব্য অনুযায়ী, “আমার তো সিনেমা করে খুব ভালো লেগেছে এবং এরপর বাকিটা দর্শক বলবে।” সিনেমার ক্লাইম্যাক্স নিয়ে নিশার বক্তব্য “ক্লাইম্যাক্স অবশ্যই ভালো হয়েছে এবং যেহেতু বড়ো পর্দায় প্রথম, তাই আমার আশা অনেক।”


ক্রিকেটার দীপ্তলোক চ্যাটার্জীর এটিই ডেবিউ ফিল্ম। তিনি বাস্তবে যতটা উচ্ছল, ঠিক ততটা বা তার বেশিই উচ্ছল ছিল তার চরিত্র অনীক। দীপ্তলোক এই নিয়ে তার বক্তব্যে বলেন “আমি যেরকম আনন্দ পছন্দ করি, সেরকমই এই চরিত্র। আমি আলাদা করে কোনো কাজ করিনি তবে চেষ্টা করেছি যদি আর একটু বেশি বাড়াবাড়ি করা যায়।” এই ছবিতে নিজের কিছু ভুল সম্মন্ধে দীপ্ত বললেন ” আমি বরাবর ভালো করার জন্য উৎসাহী থাকি, সেটা ‘উইলোর উইল’ জানে। আমি সম্পূর্ণ খুশি না, কিছু ভুল শুধরে সামনে এগোতে চাই।”