লাবুশেন, হেডের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ভালো জায়গায়

জো রুটকে সরিয়ে আগের দিনই উঠে গিয়েছিলেন টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ৩০৮ রান করার পর এমন হওয়ারই ছিল। পার্থ টেস্টের সেই ফর্ম এবার অ্যাডিলেডেও টেনে এনেছেন মারনাস লাবুশেন।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে আবারও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। লাবুশেনের টানা তৃতীয় শতকের দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ট্রাভিস হেডও। দুজনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম দিনে ৩ উইকেটে ৩৩০ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।

চোট থাকায় এ ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন স্টিভেন স্মিথ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ৩৪ রানে আলজারি জোসেফের বলে আউট হন ওয়ার্নার। তবে তিনে নামা লাবুশেনকে নিয়ে প্রথম সেশনে আর কোনো বিপদ হতে দেননি উসমান খাজা।

ডিনার বিরতির আগে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি করা খাজা খেলছিলেনও স্বচ্ছন্দে। তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝিতে খণ্ডকালীন বোলার ডেভন থমাসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৬২ রানে ফেরেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটের পর তৃতীয় উইকেটও দ্রুতই পেয়ে যান ক্যারিবীয়রা। কোনো রান করার আগেই জেসন হোল্ডারের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন স্মিথ। টানা ২ ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর লাবুশেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হেড।

দ্বিতীয় সেশনে আর উইকেট পড়েনি অস্ট্রেলিয়ার। লাবুশেন শেষ বেলায় ১৮৬ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। এর আগে পার্থ টেস্টের দুই ইনিংসে ২০৪ ও ১০৪* রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে লাবুশেন দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান, যিনি দুইবার টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন। এর আগের কীর্তিটি ওয়ার্নারের, সেটি তিনি করেছিলেন ২০১৪ ও ২০১৫ সালে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টানা চারটি টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি করার একমাত্র রেকর্ডটি জ্যাক ফিঙ্গলটনের (১৯৩৬)।

লাবুশেনের পর তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন হেডও। দিন শেষে হেড অপরাজিত ১১৪ রানে, লাবুশেন ১২০ রানে।