দ্য ড্রিম’ পৌঁছে গেল আর. ডি. এম. পি ইনস্টিটউটে। আশাবাদী ইউনিটের সদস্যরা ।

বাঁশদ্রোনী সম্মিলনী গ্রাউন্ডের বিশাল মাঠে রেল দলের প্রাক্তন রনজি ক্রিকেটার রাহুল দেব এবং তার স্ত্রী ক্রিকেটার মিঠু পাল তৈরী করেছেন এক ক্রিকেট একাডেমি। বর্তমানে প্রায় ৯৩ জন ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও কোচ হিসেবে রয়েছেন অমিত ব্যানার্জী, সায়ন ঘোষের মতো ক্রিকেটার।
সেই একাডেমিতেই আজ ৪ঠা সেপ্টেম্বর হয়ে গেল ‘দ্য ড্রিম’ সিনেমার একটি প্রমোশনাল ইভেন্ট। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক বাপ্পাদিত্য নন্দী, স্ক্রিপ্ট রাইটার রাজকুমার স্বাইন, অভিনেতা দীপ্তলোক চ্যাটার্জী, কুন্তল ঘোষাল, নিশা পোদ্দার প্রমুখ। একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন খেলার যেমন স্টাম্প হিটিং, হাই ক্যাচ প্র্যাক্টিস। বিজেতা খুদে ক্রিকেটারদের জন্য পুরস্কার হিসেবে ছিল সিনেমার প্রিমিয়ারের টিকিট।


‘দ্য ড্রিম’ সিনেমাটি একজন তরুণ ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নপূরণ নিয়ে। পরিচালক বাপ্পাদিত্য নন্দী বলছেন “এটা আসলে প্রত্যেকের সাথে রিলেটেড মুভি। শুধু ক্রিকেট বলে নয়, প্রতিটা তরুণ ছেলে একটা স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য স্ট্রাগল করতে হয়। স্ট্রাগলটাই আমাদের মুভি।” রাজকুমার স্বাইন আরো যোগ করেছেন “যে ছেলেটি ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে হয়ত সে সেটা পেয়েছে, কিন্তু তার সঙ্গে তার আর একটি স্বপ্ন ছিল সেটা সে হারিয়ে ফেলে। কি জিনিস সেটা যদি দর্শক জানতে চায় তবে তাকে আসতে হবে।” সিনেমা নিয়ে কতটা আশাবাদী তারা। রাজকুমার এবং বাপ্পাদিত্য দুজনেই একমত যে গল্প খুব ভালো। রাজকুমার বলেন “খুবই সীমিত বাজেট ছিল কিন্তু আমরা এক্সেকিউশন যতটা সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করেছি। এখন দর্শক কতটা রেসপন্স করেন সেটাই দেখার।”
সিনেমা নিয়ে কি বলবেন? একজন স্বপ্ন দেখা যুবকের সঙ্গে কতটা মিল আছে এই সিনেমার। কুন্তল ঘোষাল বলেন “আমি নিজেও ক্রিকেটার ছিলাম। সিনেমার সাথে বাস্তবের তুলনা করে লাভ নেই। সিনেমাতে দেখানো হয়েছে একটা ছেলে কিভাবে স্ট্রাগল করে তার লক্ষ্যে পৌঁছচ্ছে। কে তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিচ্ছে? সে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধুই হোক কি বান্ধবী – এটা দেখার জন্যই আসতে হবে হলে।” তিনি আরো যোগ করেন যে “একজন ছেলে কিভাবে তার পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে এগিয়ে যাচ্ছে এটাও দেখার একটি বিষয়।” ‘দ্য ড্রিম’ ছবি নিয়ে কুন্তল বলেন যে এই ছবির গল্পের সাথে অন্য গল্পের কোনো মিল পাবেনা। যাঁরা আসবেন তাঁরা অবশ্যই অন্যদের বলবেন।
নিজের চরিত্র নিয়ে অভিনেত্রী নিশা পোদ্দার বলেন “আমি একজন ভালো বন্ধু বা সাপোর্টার যেভাবে সাপোর্ট করে। একজন ছেলে কিভাবে ফ্যামিলির সাপোর্ট ছাড়া কিভাবে ক্রিকেটার হয় সেটাই দেখার জন্য দর্শককে আসতে হবে।”
দর্শকদের উদ্দেশ্যে কুন্তল ঘোষাল চেয়েছেন একটু সাপোর্ট। সাপোর্ট পেলেই তবেই সিনেমাটার সাফল্য আসবে এমনই আশা করেন তিনি।
ছবি মুক্তির আর দুই সপ্তাহ। দুই সপ্তাহ পরেই রুপোলি পর্দায় আসতে চলেছে ‘দ্য ড্রিম’।