এ যেন সেই মাথা ঢাকতে গিয়ে পা বেরিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার। ভারতীয় দলের সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। আগের পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম তিন ব্যাটারের সমস্যা আজ মিটলেও এক জাদেজার চোট এদিন পুরো বেআব্রু করে দিলো বোলিং লাইনআপকে।
না, এমন ভাবার বিন্দুমাত্র কারণ নেই যে জাদেজা থাকলে ম্যাচ হারতো না ভারত। কিন্তু গত ম্যাচের পরই লিখেছিলাম যে ভারতকে ম্যাচ জেতালো জাদেজা-হার্দিকের অলরাউন্ড কোয়ালিটি। দুজনে মিলে ৭০ এর উপর রান করেছিলেন আর ছয় ওভারে ৩৬ রান খরচ করে তিন উইকেট নিয়েছিলেন। হার্দিক প্রধান বোলার হিসেবে খেললেও ওই ম্যাচে জাদেজা খেলেছিলেন ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। আবেশ খান প্রথম দু ওভারে ১৯রান দেওয়ার পরে জাদেজা এসে বাকি দু ওভারে মাত্র ১১ রান দেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এটাই ষষ্ঠ বা সপ্তম বোলারের কাজ। এই ষষ্ঠ বোলারকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেই মহেন্দ্র সিং ধোনি একটা গোটা বিশ্বকাপ জিতেছেন। ভুবির শেষ ওভার বা অর্শদীপ-এর ক্যাচ মিসকে মাথায় রেখেও বলি, ভারত আজ ম্যাচ হারলো এই ষষ্ঠ বোলারের অভাবে।
আসলে রবীন্দ্র জাদেজা এবং আইপিএল ২০২২-এর পরের হার্দিক পান্ডিয়া পুরো ভারতীয় দলটাকে ব্যালান্স করছে। আসন্ন বিশ্বকাপ জিততে হলে এই দুজনকে পুরো প্রতিযোগিতায় সুস্থ অবস্থায় দরকার, যাঁরা যেকোন দিন একজন বিশেষজ্ঞ বোলার বা ব্যাটারের খারাপ দিনে ব্যাকআপ হিসেবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে দেবে।
আর বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী যদি সত্যি জাদেজাকে অপারেশন টেবিলে যেতে হয় তবে দীপক হুডাকে দিয়ে বল করানো হোক বা আসন্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে বাংলার শাহবাজ আহমেদকে খেলিয়ে প্রস্তুত করে নেওয়া আবশ্যক।