মহামেডান ক্লাব কলকাতার একটি অন্যতম বড়ো ক্লাব হওয়া সত্ত্বেও এখন তারা উঠতে পারেনি সিএবির সুপার ডিভিশন অর্থাৎ গ্রুপ এ তে। সুতরাং এবার সুপার ডিভিশনে উত্থান পেতে মরিয়া তারা। আজ দলের খেলোয়াড়রা সই সম্পূর্ণ করার পরে কাগজে কলমে বেশ শক্তিশালী। ব্যাট হাতে জয়জিৎ বসু, দীপ চ্যাটার্জী, উইকেটের পিছনে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার গীতিময় বসু, বল হাতে ময়দানের অন্যতম ইনসুইং স্পেশালিস্ট নীলকণ্ঠ দাস, অলোক প্রতাপ সিংকে নিয়ে বেশ শক্তিশালী এইবছরের মহামেডান স্পোর্টিং ক্রিকেট দল।
৯ বছর ধরে মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল থাকার পরে আজ হঠাৎ ক্লাব পরিবর্তন করছেন জয়জিৎ বসু।
ক্লাব পরিবর্তনের কারণ কী? জয়জিৎ বললেন “নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়া উচিৎ মনে হলো। এছাড়া মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট আমি বাইরে চলে যাওয়ার পরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ক্লাব চেঞ্জ একটা মোটিভেশনের জন্যই বলতে পারো।” মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে ১০০০০ রান সম্পূর্ণ করেছিলেন জয়জিৎ। সেই ক্লাব পরিবর্তন কতটা আশাহত করেছে? জয়জিৎ আশাহত মানতে নারাজ। তিনি বলছেন ” আশাহত হওয়ার ব্যাপার নেই। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে যে ক্লাবে খেলবো সেই ক্লাবকে জেতানোর দায়িত্ব থাকবে। আমি আমার জীবনের একটা বড়ো সময় যে ক্লাবের হয়ে খেলেছি সেখানে একটা আবেগ থাকবেই। কিন্তু একজন পেশাদার হিসেবে তোমাকে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে।” গতবছর জয়জিৎ বসু ক্লাবস্তরে পারফরমেন্স এর বিচারে ছিলেন একটু সাদামাটা। ভয়ঙ্কর কোভিড তার পারফরমেন্স গ্রাফকে তলানিতে ঠেকিয়ে দিলেও ইংল্যান্ড গিয়ে প্রচুর রান করে আবার আত্মবিশ্বাসী জয়জিৎ। জয়জিৎ বলছেন “ফর্ম সবার ওপর-নিচে হয়। একমাত্র ডন ব্র্যাডমান ছাড়া সবার অফ-ফর্ম এসেছে। তোমাকে সামনের দিকে তাকাতে হবে।” জয়জিৎ মনে করিয়ে দিলেন তিনি যে ক্লাবেই খেলুন সবসময় খেলবেন জেতার জন্য।
গতবছর মোহনবাগান থেকে এইবছর মহামেডান দলে এসেছেন গীতিময় বসু। গীতিময় কারণ হিসেবে জানালেন “নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই এই দলে আসছেন তিনি কারণ মহামেডান দলের প্লানিং তার খুব ভালো লেগেছে। মহামেডান টিম তুলতে চাইছে ওপরের ডিভিশনে সেই চ্যালেঞ্জ নিলাম।” খেলোয়াড় হিসেবে গীতিময় চান যে টিমের হয়ে খেলবেন সেই দলকে ট্রফি দিতে। এছাড়া তিনি বলছেন “ব্যক্তিগত টার্গেট কিছু থাকে সবসময় তবে ক্লাবকে ট্রফি দিতে পারলে ভালো লাগবে।” গীতিময় আরো জানালেন যে তিনি কোনোভাবেই মোহনবাগান ছাড়ায় আশাহত নন কারণ তিনি স্বেচ্ছায় মহামেডান দলে এসেছেন। মোহনবাগান থেকে এই বছর এসেছেন নীলকণ্ঠ দাস। নীলকণ্ঠ বলছেন “দীর্ঘ আট বছর মোহনবাগান খেলেছি। একাধিক ট্রফি পেয়েছি,অনেক উইকেট পেয়েছি। নতুন যারা ম্যানেজমেন্ট এসেছে তারা আমায় নিয়ে ভাবেনি। মহামেডান ভালো টিম করছে এবং যে বড় টিম তারা বানাবে ভেবেছিল তা তারা বানিয়েছে। এই কারণেই দলে আসা।” নীলকণ্ঠ দাস গতবছর ছিলেন রনজি ট্রফি স্কোয়াডে। তিনি জানালেন এবার তিনি চেষ্টা করবেন ফিট থাকার কারণ যে কোনো সময়ে সুযোগ আসতে পারে। এছাড়াও তিনি চেষ্টা করবেন এই বছর মহামেডান দলে সতীর্থদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহামেডান দলের জন্য পারফরমেন্স করতে।
ছবি (কভার ছবি সহ): sportzpoint (http://sportzpoint.com)