পরপর দুই বলে উইকেট পাওয়ার পরে তৃতীয় বলে ক্যাচ মিস হলে একজন বোলারের যে অবস্থা হয়, অমরেশ মজুমদারের এখন ঠিক সে অবস্থা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শারজায় আছেন এই বাঙালি ভারতীয় প্রবাসী কিন্তু প্রবল ক্রীড়াপ্রেম থাকা সত্ত্বেও এশিয়া কাপের আগে কোনদিন মাঠে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখা হয়ে ওঠেনি। এবারে যখন অনলাইন টিকিট বিক্রির আড়াই ঘন্টার মধ্যে প্রথম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট শেষ হয়ে গেছে, সেই পরিস্থিতিতেও তিনি অনলাইন থেকেই সম্ভাব্য তিনটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সংগ্রহ করেন। এখন দুটো ম্যাচ মাঠে বসে দেখলেও হ্যাটট্রিক আর করা হতে উঠলো না তাঁর।
![](https://willowrwill.files.wordpress.com/2022/09/img-20220909-wa0023.jpg?w=768)
আক্ষেপ করে এদিন বিকেলে বলছিলেন ‘ফাইনালের চারটে টিকিট নিয়ে বসে আছি, কিন্তু মাঠে যাওয়ার প্রয়োজনটাই ফুরিয়ে গেলো। এমনকি অফিসের পাকিস্তানী সহকর্মীকে টিকিট দিতে চাইলেও তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁদের মতেও ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হলে অবশ্যই যেতাম। এই ফাইনাল দেখতে যাওয়ার আগ্রহ নেই।’ মেট্রো, শপিং মল, ক্যাফেটেরিয়া সর্বত্র একই আক্ষেপ! কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ফাইনালে মহারণ দেখতে না পাওয়ার আফসোস।
![](https://willowrwill.files.wordpress.com/2022/09/img-20220909-wa0020.jpg?w=749)
ভাবুন একবার! ফাইনালে অংশগ্রহণ করে সত্ত্বেও পাকিস্তান সমর্থকরাও আগ্রহ হারিয়েছেন এশিয়া কাপ ফইনালের উপর থেকে, আর একটা ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখার থেকে বঞ্চিত হয়ে। যাঁরা জোরপূর্বক ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট বন্ধ করে রেখেছেন, তাঁরা কী কিছু শুনলেন? বুঝলেন? এটাই বকলমে ফাইনালের আগে ইউএই-র পরিস্থিতি। মরুদ্যানে ফুল ফোটার আগেই কুঁড়ি ঝড়ে গেলো। এটাই সম্ভবত ভারত-পাক ক্রিকেটের মহিমা! এটাই ক্রিকেট!