‌ওয়াংখেড়েতে সানির বক্স যেন বিমানের এগজিকিউটিভ ক্লাস

তা ছাড়া আর কী?‌
ভেতরে ঢোকার পর থেকেই মনে হচ্ছিল যেন হঠাৎ করে বিমানের এগজিকিউটিভ ক্লাসের অংশকে তুলে এনে ফেলেছেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কর্তারা। অত্যাধুনিক ড্রইংরুমও ভাবা যেতেই পারে। দেওয়ালের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, কেন ওই স্যুট সুনীল গাভাসকারের নামে নামকরণ করা হয়েছে। ক্রিকেট জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি। বাইরে অসহ্য গরম হলেও ভেতরে অবশ্যই ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। বিমানসেবিকাদের মতো করেই স্বাগত জানানো হচ্ছে প্রত্যেক অতিথিকে। তবে, এখানে দায়িত্বে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁরা সবাই পুরুষ।

গাভাসকার বক্স


১৪টি আসনের এই বক্সে আসন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই জানতে চাওয়া হচ্ছে, কেমন পানীয় সরবরাহ করা হবে?‌ চেয়ারের হাতলেই রয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের বোতল। আরামদায়ক চেয়ারের ডান হাতলে রয়েছে মেহগনি কাঠের একটি ছোট তক্তা। যা স্বয়ংক্রিয় টেবিলের মতো। এসে যাবে পছন্দমতো মেনু। আয়েশ করে খেলা দেখার চমৎকার সুযোগ।

সুনীল গাভাসকার বক্সে বসে খেলা দেখছেন দেবাশিস দত্ত


ভারতের কোনও মাঠে কোনও ক্রীড়াবিদের নামে এমন বিলাস–‌বহুল বক্স নেই। ওয়াংখেড়ে মাঠের সব আন্তর্জাতিক ম্যাচে সানি গাভাসকার তাঁর ১৪ জন আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে খেলা দেখতে পারেন। ম্যাচের আগের দিন টিকিট তুলে দেওয়া হয় সানির প্রতিনিধির হাতে। তার আগে তৈরি করা হয় তালিকা –‌ কারা কারা যাবেন তাঁর অতিথি হয়ে। সেই অনুযায়ী বিতরণ।
চা, লস্যি, ঘোলের কাপ বা গ্লাস শেষ হতেই অতিথিদের সামনে দেওয়া হচ্ছে ছাপানো মেনু কার্ড। অবিকল বিমানের এগজিকিউটিভ ক্লাসের মতোই। হাল্কা বা ভারি জলখাবার। ফিশ ফ্রাই, কাবাব ছাড়াও থাকছে বড়া পাও এবং নানা রকমের চাট–‌মশালা। ঘরের ভেতরেই রয়েছে টেবিল। ওখানে দাঁড়িয়ে নিজের প্লেটে তুলে নিতে পারেন পছন্দের খাবার। চা, কফি তো আসছিল নাগাড়ে। প্রথম ইনিংস শেষ হতেই ডিনার। ফুল কোর্স। মটন, চিকেনের সমারোহ। নিরামিষ খাবারও পেয়ে যাবেন। যেমন খুশি। মোদ্দা কথা হল, মেজাজে খেলা উপভোগ করা। বক্সের মালিক আসছেন না এখন। বায়ো-বাবলে থাকতে হচ্ছে বলে। তবে, মাঠের ভেতর থেকে একবার অন্তত:‌ বক্সের সামনে এসে অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে যাচ্ছেন। মিনিট দু–‌তিনের জন্য আবির্ভাব। তাতেই অতিথিদের দিল খুশ হয়ে যাচ্ছে।‌‌

এভাবেই নিজের নামাঙ্কিত বক্সে বসা অতিথিদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন সানি