রান পেলেও প্রভাবহীন, মঈন সন্ত্রস্ত বিরাট

মনে পড়ে ২০২১ সালের চেন্নাই টেস্ট? বিরাট কোহলির আউট হওয়ার পদ্ধতি? অফ-স্টাম্পের বাইরে পিচ হওয়া বলে সামনের পায়ে এসে ড্রাইভে প্রলুব্ধ হতেই একটি টার্ন নড়িয়ে দিয়েছিলো স্টাম্প।
এরপরে ফিরে আসুন আজকের পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে। বোল্ড হওয়ার ঘটনার ঘটনার পুনরাবৃত্তি একইরকম। অফ-স্টাম্পের বাইরে পিচ হওয়া বলে অন-ড্রাইভ করতে গিয়ে আবার একটি টার্ন ঘুরিয়ে দেয় বিরাটের স্টাম্প।


আজকের ইনিংসে বিরাটের সংগ্রহ ৩৩ বলে ৩০। বিগত কয়েকটি ইনিংস ধরলে দুটি শূন্য রানের ইনিংস এবং একটি ইনিংসে দুটি ইনসাইড এজে আসা বাউন্ডারি সম্বলিত ৯ রানের ইনিংসের পর আসে ২০২২ সালের আইপিএলে তাঁর প্রথম হাফসেঞ্চুরি। সেই ইনিংসে ৫৩ বল খেলে বিরাট করেন ৫৮ এবং তারপরে আজকের ৩৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস।
উল্লেখ করা ভালো যে শেষ দুটি ইনিংসেই শুরুর দিকে বিরাট কোহলিকে দেখা গিয়েছে একজন স্লো-স্টার্টার হিসেবে। বিগত ম্যাচে প্রথম ৩০ রান করতে কোহলি নিয়েছিলেন ২৫ বল এবং তাঁর ব্যক্তিগত ইনিংস যখন ৩০ বলের হয় তখন তার ব্যাটে ছিলো ৩১ রান। পরের দিকে বেশ কিছু শট খেলে ৪৫ বলে নিজের হাফ-সেঞ্চুরী পান কোহলি এবং শামির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৮ রান করে যান বিরাট। দীর্ঘ লো স্কোরের মধ্যে একটি হাফ-সেঞ্চুরি স্কোরবোর্ডে মরুভূমির মরূদ্যান হলেও তা বিরাট-সুলভ হয়না কারণ সমগ্র আইপিএল কেরিয়ারে কোনো হাফ-সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে এটাই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট।


এরপরে আসে আজকের ইনিংস। ফ্যাফ দুপ্লেসি যখন তীব্র আক্রমণ করছেন মুকেশ চৌধুরী ও সিমরজিৎ সিংকে তখন অচিরেই বিরাট হয়ে যান অ্যাঙ্কর। এরপরে ফ্যাফ আউট হতেই স্ট্রাইক রোটেশনে বিপত্তি ঘটে তাঁর। মহেশ তীক্ষানা এবং মঈন আলী দুজনেই বোতলবন্দী করে ফেলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। এরপর চাপে পড়ে ড্রাইভ করতে গিয়েই হয় বিপদ। ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে উইকেট দিয়ে আসেন বিরাট।
গত বছর চেন্নাই টেস্টে প্রথম ইনিংসে এই ভঙ্গিমায় আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অফ-স্টাম্প থেকে সরে এসে স্ট্যান্স নিয়ে ব্যাট করেন বিরাট এবং অফ-স্টাম্পের বাইরে বল পড়লে শাফল করে এসে সেটাকে খেলছিলেন বিরাট। এবার কি সমাধান? নিশ্চয়ই ভাববেন বিরাট। যা হবে তাঁর দীর্ঘ খারাপ সময়ের অবসানের কারণ।