সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে খোলামেলা কথাবার্তা


• যদিও টি–‌২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে দেরি আছে। তবু, বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার খারাপ ফর্ম দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা চিন্তিত।
সৌরভ গাঙ্গুলি:‌ এত বড় ব্যাটসম্যান দু‌জনেই যে আমি অন্তত এই সব নিয়ে একেবারেই ভাবছি না। আসতে দিন টি–‌২০ বিশ্বকাপ, দেখবেন ঠিক ওরা দু‌জনেই ফর্মের তুঙ্গে পৌঁছে যাবে।
• সামগ্রিকভাবে এবার আইপিএল–‌এ ব্যাটারদের চেয়ে বোলারদের দাপট দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি।
সৌরভ:‌ ভালই তো। এর প্রধান কারণ, মুম্বইয়ের ৩টি মাঠ এবং পুনের মাঠের উইকেট বেশ ভাল। চমৎকার বাউন্স। বল যাচ্ছে ভাল উচ্চতায়। জোরে বোলাররা উৎসাহিত হয়ে বল করছে। বল ঘুরছে। এ সব কারণেই বোলারদের দাপট বেশি দেখছেন।
• আপনি বলেছিলেন, আইপিএল–‌এ সীমানা বড় করে দেওয়া হবে। আদতে তো ছোট হয়ে গেল?‌
সৌরভ:‌ সাইড বাউন্ডারি ছোট হয়ে যাচ্ছে বলে করা গেল না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পুরো মাঠে খেলা হবে।


• উমরানকে কেমন দেখছেন?‌
সৌরভ:‌ ভেরি প্রমিসিং। আমাদের দেশে কজন বোলার ধারাবাহিকভাবে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে?‌ ও পারছে। জোরে বল করতে পারাটা একটা শিল্পও বটে। আগলে রাখতে হবে ওকে।
• এই মুহূর্তে ওকে কি ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া উচিত?‌
সৌরভ:‌ আমি নির্বাচক হলে অবশ্যই সুযোগ দিতাম। সুযোগ না দিলে কেউই উন্নতি করতে পারে না। খেলতে খেলতেই পরিমার্জনের রাস্তায় নিঃশব্দে পৌঁছে যেতে হয়। এখন অবশ্য এক ঝাঁক নতুন জোরে বোলার দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু বাড়তি গতির ব্যাপারে উমরান এগিয়ে আছে।
• নটরাজন?‌
সৌরভ:‌ আছে তো বটেই। তবে কুলদীপ সেনকে স্পেশাল মনে হচ্ছে। কষ আছে ছেলেটার। জানি না এতজন জোরে বোলারের মধ্যে নির্বাচকরা কাকে সুযোগ দেবে। বুমরা–‌সামিও তো থাকবে।
• ১৫০ কিলোমিটার গতির বোলারদের সামলানোর জন্য প্রধান অস্ত্র কী, কী?‌
সৌরভ:‌ সাহস আর টেকনিক।
• আপনিও তো এমন গতির বোলারদের খেলেছেন?‌
সৌরভ:‌ একজন নয়। অন্তত ৫ জন তো বটেই। ব্রেট লি, মিচেল জনসন, অ্যালান ডোনাল্ড, শোয়েব আখতার, মাখায়া এনতিনি, স্টিভ হার্মিসন— আরও অনেকে জোরে বল করত।
• হার্দিক পান্ডিয়া তো কথা রেখেছেন .‌.‌.‌
সৌরভ:‌ হ্যাঁ, আমরা ওকে ডেকে কথা বলেছিলাম। ও কথা দিয়েছিল সুস্থ হয়ে ফিরবে। ভালই খেলছে এখন। এমন ক্রিকেটাররা ভাল খেললে দলও চড় চড় করে এগোতে পারে।
• ভারত যাচ্ছে ইংল্যান্ড সফরে। আপনি যাবেন?‌
সৌরভ:‌ হ্যাঁ, যাওয়ার ইচ্ছে আছে। ওখান থেকে আয়ার্ল্যান্ড।
• আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার ব্যাপারটা?‌
সৌরভ:‌ দেরি আছে তো!‌ কত ইকুয়েশন পাল্টে যায়। আজ যা মনে হচ্ছে নিশ্চিত, তা অনিশ্চিত হয়ে যেতেই পারে। আবার উল্টোটাও ঘটে।‌‌‌