শ্রীলংকানদের জীবনটা এখন দুর্বিষহ। পারছেন না ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে। জ্বালানি বা গ্যাসের অভাব হচ্ছে। পারছেন না জীবনদায়ী ওষুধ সংগ্রহ করতে। শুধু গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধ নয়, বিদ্যুতের অভাবেও গণ-পরিবহন বিপর্যস্ত। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। অফিস,আদালতও বন্ধ। অনলাইনে কাজ হচ্ছে বাড়ি থেকে। এর ফলে, ধীরে ধীরে তাঁদের মুখের হাসি মিলিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে জীবনযাত্রার মান দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতেও তাঁরা ক্রিকেট নিয়ে মশগুল হয়ে আছেন। দেশের ক্রিকেটারদের সমর্থন জোগাতে নিয়মিত গ্যালারিতে আসছেন। সামনে আবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট। এই দুরবস্থার মধ্যেও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড পিছিয়ে যায় নি। করতে চলেছে
এই বিশাল প্রতিযোগিতার আয়োজন। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কবে ভালো হবে কেউ জানে না।
সত্যিই অবাক করে দেয়, এমন সংকটেও বন্ধ নেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট। লঙ্কাবাসীরা ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে হাতে দেশের পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে যাচ্ছেন, গলা ফাটাচ্ছেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজরা দেশবাসীকে সমর্থনের প্রতিদানও দিয়েছেন। সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এমন কঠিন সময়ে তাঁরা বাংলাদেশে এসে টেস্ট-সিরিজ জিতেছেন। নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ান-ডেতে হারিয়েছেন।
আর এই দুঃসময়ে ক্রীড়াপ্রেমীরা দেশের ক্রিকেটকে জড়িয়েই আনন্দ পেতে চাইছেন। গলে টেস্ট দেখতে এসে উজিত নীলান্ত বলেছেন, ‘দেশে এখন হাজারো সমস্যা আছে। আমরা একঘেয়ে জীবনযাপন করছি। কখনো কখনো বাড়িতে রান্না হচ্ছে না গ্যাস ও জ্বালানির অভাবে। বাচ্চাদের মুখ থেকে হাসি চলে গেছে।
আমরা ক্রিকেট খেলা দেখার সময় মানসিকভাবে কিছুটা হলেও তো ভালো আছি।’
খেলা দেখতে দেখতে শ্রীলংকানদের মুখে একই কথা, ‘দুঃখের সময়ে আমাদের শুধু ক্রিকেট আছে। মনকে শান্ত করতে টেস্ট দেখতে এসেছি।’