আগামী পরশু মোহালিতে পাঞ্জাব সুপার কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে এবারের আই পি এল অভিযান শুরু করতে চলেছে নাইটরা। গতকাল চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের দল পৌঁছেছে চন্ডীগড়ে। তাদের গতবছরের অধিনায়ক তথা দলের মিডল অর্ডারের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান অবশ্য এখন অন্য যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। পিঠের চোট দ্রুত সারিয়ে তুলতে মরিয়া শ্রেয়াস আয়ার আপাতত অস্ত্রোপ্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ফিজিও ও চিকিৎসকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে তার সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া এবার শুরু হতে চলেছে।শ্রেয়াসের মনোভাব থেকে এটা স্পষ্ট যে আগামী জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালকেই তিনি পাখির চোখ করছেন।ওভালের ম্যাচে নিজের জায়গা পাকা করার জন্য দ্রুত চোটমুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।সেটা উপলব্ধি করেই পিঠের অস্ত্রোপ্রচার মুলতবি রাখার এই বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত এমনটা মনে করা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।
চলতি আই পি এল এ তার খেলার সম্ভাবনা অবশ্য সরকারিভাবে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি।এন সি এ তে তার আরোগ্যলাভের প্রক্রিয়া অনাবশ্যক বিলম্বিত না হলে আই পি এল এর শেষ পর্বে তাকে বাইশগজে ফের দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে অগ্রাহ্য করা যায় না। বস্তুতঃ নাইট কতৃপক্ষেরও কাঙ্ক্ষিত মনোবাসনা সেটাই।প্লে অফে ওঠার জমজমাট লড়াইয়ের ক্লাইম্যাক্সে শ্রেয়াসকে পাওয়া গেলে সেটা দলের পক্ষে বেশ ইতিবাচক হতে বাধ্য।কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতও তাই শ্রেয়াসের ব্যাপারে এখনই হাল ছাড়তে রাজী নন।অবশ্য গতবছর চড়া মূল্যে নিলামে দিল্লী ক্যাপিট্যালস এর থেকে শ্রেয়াসকে কেনার পর অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান দুই ভুমিকাতেই এই মুম্বাইবাসীর প্রদর্শন খুব আহামরি নয়। গতবার কে কে আর সামগ্রিক দলগত ব্যর্থতার নেপথ্যে শ্রেয়াসের ধারাবাহিকভাবে রান না পাওয়া এবং দূর্বল অধিনায়কত্ব প্রবলভাবে সমালোচিত হয়েছিল।এবছর সমালোচকদের ভুল প্রমাণিত করার বাড়তি তাগিদ শ্রেয়াসের থেকে প্রত্যাশিত ছিল। পিঠের পুরোনো চোটে আপাতত সে স্বপ্নের সলিল সমাধি।