চিন্তিত পন্টিং।

আই পি এল এর পঞ্চদশ সংস্করণের সাড়ম্বর সূচনার প্রাক্কালে দিল্লী ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ বিশ্বের জনপ্রিয়তম টি টোয়েন্টি লিগের পুরোনো ফর্ম্যাটের প্রত্যাবর্তনে কিঞ্চিৎ চিন্তান্বিত।করোনা মহামারীর প্রভাবে বিগত তিন বছর আই পি এল এর চেনা ফর্ম্যাট দেখতে পাওয়া যায় নি।কঠোর অনুশাসন সম্বলিত জৈব সুরক্ষা বলয়ের অধীনে দু একটি নির্দিষ্ট শহরেই প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ ছিল।এ বছর থেকে ক্রোড়পতি লিগ ফের পুরোনো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ ভিত্তিক চেনা বৈশিষ্ট্যে ফিরছে এবং ক্রিকেটাররা বিভিন্ন শহরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘোরাঘুরি করার শারীরিক ও মানসিক ধকল কতটা নিতে পারবেন সে বিষয়ে সন্দিহান রিকি পন্টিং।এ বছরের আই পি এল এর সূচী অনুযায়ী দিল্লী ক্যাপিট্যালস দলকে প্রথমদিকে পর্যায়ক্রমে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ বেশ কয়েক দফায় খেলতে হবে।দু বারের বিশ্বজয়ী অষ্ট্রেলিয়া অধিনায়ক এ বিষয়ে তার ক্ষোভ গোপন না করেও এই ফর্ম্যাটের প্রচলিত বৈশিষ্ট্যের বাধ্যবাধকতাকে অনিচ্ছা সত্বেও মেনে নিচ্ছেন।

Ricky Ponting

এবারের সূচি যে তার দলের প্রাথমিক অবস্থায় বিড়ম্বনার কারণ সেটা স্বীকার করে নিতে অবশ্য সাধারণভাবে সমস্যা নেই। এমনিতেই দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতি তার পূর্বপরিকল্পনাপ্রসূত প্রস্তুতিকে যে ব্যাহত করেছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।পরিবর্ত হিসেবে বঙ্গ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল কতটা ভরসাযোগ্য হতে পারবেন তার উত্তর সময়‌ই দেবে। অধিনায়ক পন্থের শূন্যস্থান অবশ্য তিনি পূরণ করার সুযোগ পাচ্ছেন অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়ার্নার এর মাধ্যমে।২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এর হয়ে আই পি এল জয়ী অধিনায়ক এর অতীত পরিসংখ্যান পন্টিং এর কাছে বিশ্বস্ততার স্বীকৃতি।তবে ব্যাটসম্যান পন্থের অভাব এত সহজে পূরণ যে হ‌ওয়ার নয় সেটা হয়ত বিলক্ষণ জানেন স্টিভ ওয়াগ এর উত্তরসুরী।ক্রিকেট বিষয়ক ডিরেক্টর হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর সাহচর্যলাভ যদিও তার কাছে বাড়তি অক্সিজেনের সমতুল্য। পন্টিং আশাবাদী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এর সঙ্গে তার যুগলবন্দী ইপ্সিত ইতিবাচক ফল‌ই এনে দেবে।