প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৫৭। পরের ম্যাচে অপরাজিত ৭৩। শেষ ম্যাচে অপরাজিত ৭৪। মোদ্দা কথা, গোটা সিরিজ জুড়ে শ্রেয়স আয়ারকে আউটই করতে পারল না শ্রীলঙ্কা। তিনটি ম্যাচে মোট রান ২০৪। তিনবারই অপরাজিত। ধীরে সুস্থে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, এমনটাও নয়। তিন ম্যাচেই ব্যাটে ছিল ঝড়ের ঠিকানা। স্ট্রাইক রেট ১৭৪.৩৫। যদি তিনটির মধ্যে কোনও ইনিংসে আউট হতেন, তাহলেও গড় গিয়ে দাঁড়াল ২০৪। ভাবা যায়, একটা টি২০ সিরিজে কারও ব্যাটিং গড় কিনা ২০৪! কিন্তু মুশকিলটা হল, একবারও আউট হননি। ফলে, ব্যাটিং গড়ের জায়গায় কিছুই লেখা যাবে না। সিরিজের সেরা ক্রিকেটার। যাঁর গড়ের জায়গাটা ফাঁকাই রাখতে হচ্ছে।
টি২০ তে টানা তিন অর্ধশতরান নতুন কিছু নয়। বিরাট কোহলির তিনবার এমন কীর্তি আছে। কে এল রাহুলের রয়েছে দু’বার। রোহিত শর্মাও একবার টানা তিনটি ম্যাচে পঞ্চাশের গন্ডি পেরিয়েছেন। কিন্তু একই সিরিজে টানা তিন অর্শতরান একমাত্র বিরাটের। আর টানা তিনবার অপরাজিত থাকার কৃতিত্ব। এই ব্যাপারে বাকিদের ছাপিয়ে গেলেন শ্রেয়স। এ তো গেল পরিসংখ্যানের দিক। কিন্তু তার বাইরেও অনেক সমীকরণ ও সম্ভাবনা উকি মারে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও একদিনের সিরিজ ও টি২০ সিরিজ খেলেছে ভারত। ইডেনে ছিল প্রথম দু’টি টি২০। তিন নম্বরে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। সিরিজ আগাম জিতে যাওয়ায় শেষ ম্যাচের আগেই কলকাতা ছেড়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন বিরাট। ফলে, তিন নম্বরে নামার সুযোগটা এসে গেল শ্রেয়সের সামনে। সেই ম্যাচে সুযোগটা সেভাবে কাজে লাগানো গেল না। শ্রীলঙ্কা সিরিজে সেই আক্ষেপটা যেন পুষিয়ে নিলেন। তিন নম্বরে নেমে নির্ভরতা দিলেন। নির্ভরতা দেওয়ার পাশাপাশি দুশ্চিন্তাও বোধ হয় কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন। টি২০ বিশ্বকাপে তিন নম্বরে তাহলে কে আসবেন? বিরাট কোহলি নাকি শ্রেয়স আয়ার? বিরাট তিনে থাকলে শ্রেয়সকে হয়ত চার নম্বরে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সূর্যকুমার যাদব কোথায় আসবেন? ঋষভ পন্থই বা কত নম্বরে আসবেন? সবমিলিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে বেশ সঙ্কটেই ফেলে দিলেন।