শনিবার খেলার বিরতির সময়ে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের আত্মজীবনী ‘রিস্ট আ্যশিয়োর্ড’ এর উদ্বোধন করলেন সুনীল গাভাসকার। মঞ্চে তখন উপস্থিত কপিল দেব, সৌরভ গাঙ্গুলি, রজার বিনি এবং অবশ্যই গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ। বায়ো-বাবলের কারনে অনেকটা দূর থেকে অনুষ্ঠান দেখে গেলেন রাহুল দ্রাবিড়। বই উদ্বোধন করে সানি বললেন ‘অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি এক এবং অদ্বিতীয় জিআরভি-র বই প্রকাশ করে। এই বই থেকে নতুন প্রজন্ম আরও ভাল খেলার রসদ পাবে।’
২০ মিনিটের বিরতি। তাই দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান হয়েছে প্রেস বক্সের পেছনের লাউঞ্জে। সেখানে দাঁড়িয়ে ভিশি বলছিলেন ‘ জীবনের অন্যতম সেরা দিন। বই লিখতে চাইনি। জোর করে লেখানো হয়েছে। আমার ছেলে দৈবিক বলেছিল, এই সুযোগ আর আসবে না।’ আবেগতাড়িত ভিশি বলে বলে চলেছেন ‘আমার একদিকে কপিলদেব, অন্যদিকে গাভাসকার। চিমটি কেটে জানতে চেয়েছিলাম, আমি কি স্বপ্ন দেখছি? একই সঙ্গে ধন্যবাদ দেব সৌরভ গাঙ্গুলিকে। যার জাতীয় দলে নির্বাচনের সময় আমি ছিলাম নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান। ওর ২৮ রানের একটা ইনিংস দেখেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে সুযোগ দিতেই হবে। অন্য নির্বাচকরা বলেছিল, কী দেখলে? পরিষ্কার জানিয়েছিলাম যা দেখার দেখে নিয়েছি। ও ইংল্যান্ড যাবে। আমার এই বই উদ্বোধনের পেছনে বোর্ডের যা ভূমিকা, তা ওর জন্যই।’ একটু দুরে দাঁড়ানো সৌরভ বলছিলেন, ‘আর একটা কপিলদেব যেমন হবে না, আর একটা বিশ্বনাথও হবে না।’
কিছুতেই বলতে চাইছিলেন না কপিলদেব। ভিশি এগিয়ে দিলেন মাইক্রোফান। কপিল বললেন ‘অন্তত ২০ বছর আগে এমন আত্মজীবনী লেখা উচিত ছিল। পড়াশোনার ব্যাপারে আমার খুব একটা নামডাক নেই, তবু আমি এই বইটা পড়ব। ওরে বাস্, ২৬৬ পাতা!’ ঠিক পাশে দাঁড়ানো ভিশি বলে উঠলেন, ‘৩০০ রানের টেস্ট ইনিংস নেই আমার, তাই বিশেষ লক্ষ্য রেখেছিলাম, বই এর পৃষ্ঠা সংখ্যা যেন ৩০০ না পেরিয়ে যায়।’ সবাই যখন হাসছেন, কপিল এই বলে শেষ করলেন ‘অনেক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে প্রথম এসে বিশ্বনাথের অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম। ওটা সযত্নে রেখে দিয়েছি। ভিশি আমার প্রিয় ক্রিকেটার, আদর্শও বটে। তাই ওর ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা ভাবতে পারিনি এবার।’