এখনতো টেস্ট ম্যাচর শেষ দিন মানেই টানটান নাটকের শেষ অঙ্ক। কিছুদিন আগে ভারতের গড়া ৩৭৭ রানের ইনিংসে জবাব দিল ইংল্যান্ড। যে ম্যাচ ভারত জিতবে এমনই একটা আশা করা যাচ্ছিল সেই ম্যাচে বেয়ারস্টো অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিলেন।
ঠিক সেরকমই একটা ম্যাচ আমরা দেখলাম শ্রীলংকার গলে পাকিস্তান- শ্রীলংকার ম্যাচে। পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড় থেকে দর্শকদের মাথায় ছিল এই ম্যাচে যেকোনো ফলই(হার-জিত-ড্র) সম্ভব—তাহলে এর চেয়ে রোমাঞ্চকর আর কিছু হতে পারে না। আর সত্যিই অশান্ত শ্রীলঙ্কা দেখলো একটা রোমাঞ্চকর ম্যাচ! রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে জয় পেলে পাকিস্তান।
গলে মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিনে সম্ভাব্য তিনটি ফলের যেকোনো কিছুই একটা হতে পারত। ড্রয়ের জন্য বৃষ্টির সাহায্যের দরকার হতো। আর হার-জিতের জন্য দুই দল মাঠে থাকলেই চলত। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে হার মানিয়ে দুটি দল মাঠে ছিল এবং পাকিস্তান জয় পেল। যদিও ম্যাচের অন্তিম লগ্নে পাকিস্তানের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল বৃষ্টি। জয় থেকে তারা যখন মাত্র এগারো রান দূরে, তখনই গলের মঞ্চে আবির্ভাব হয় বৃষ্টির। যদিও যাবতীয় উৎকন্ঠা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু হয় এবং পাকিস্তান কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছয়।
জয়ের জন্য ৩৪২ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২২২ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। পঞ্চম দিনের কাজের দরকার ছিল আরো ১২০ রানের। শেষ দিনে পাকিস্তান আরো তিনটে উইকেট হারিয়ে এই ঐতিহাসিক ম্যাচ জিতে গেল চার উইকেটে।
আর পাকিস্তানের এই জয়ে অতিমানবীয়(১৬০ অপরাজিত) ইনিংস খেলেন আবদুল্লাহ শফিক।
গলের ইতিহাস কিন্তু এর আগে পাকিস্তানের হয়েই কথা বলেছে। এই মাঠে এর আগে তারা চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০০ রান করেছে। আর আজ সে মাঠেই চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নতুন গড়লো।
হ্যাঁ, একটা সময় লঙ্কানদের মনে আশা জেগে উঠেছিল। যখন তিনটে উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু হলে কি হবে,
অতিমানব শফিক যে এক প্রান্তে নিজেকে ধরে রেখেছিলেন। এই তো টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চ! ১২৭.২ ওভারে রান তাড়া করে তুলে নেওয়া জয়ের সে রোমাঞ্চে পাকিস্তান লেটার মার্কস পাবে।