মধ্যপ্রদেশ ইনিংসের পঁচিশতম ওভারে প্রথমবার বল হাতে পেলেন বাংলার পেসার ঈশান পোড়েল। এবং হিমাংশু মন্ত্রীকে বেশ কিছুক্ষণ গতির হেরফেরে ব্যস্ত রেখে হঠাৎই একটি কম গতির বলে তাঁকে বাধ্য করলেন মিড অফে দাঁড়ানো অনুষ্টুপ মজুমদারের হাতে ক্যাচ তুলতে।
এরপর ২৭তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে যাচ্ছিলেন ঈশান পোড়েল এবং দৌড় শুরু করার আগে ভেসে এলো অনুষ্টুপ মজুমদারের নির্দেশ, “চল চল এভাবেই করতে থাক। তোর বলে আমার হাতে ক্যাচ আছে।”
যদিও দিনের শেষে দুই নৈশপ্রহরী সারাংশ জৈন এবং অনুভব আগারওয়াল আর কোনো অঘটন ঘটতে দেননি, বরং মেরেছেন তিনটি বাউন্ডারি। আজ ৪৩৮ রানে বাংলাকে গুটিয়ে যাওয়ার পর শাহবাজ আহমেদকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন মনোজ তিওয়ারি। শাহবাজ তেমন সুবিধা না করতে পারলেও বেশ ভালো বল করেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। বেশ কয়েকবার নিজের ঘূর্ণি দিয়ে পরাজিত করেন দুই ওপেনারকে। এরপর দলীয় ৩৪ রানের মাথায় আকাশদীপের দুরন্ত একটি অ্যাংলিং বলে অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান যশ দুবে(১২)। এরপর ঈশান পোড়েল তুলে নেন গতবছরের রঞ্জি সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করা হিমাংশু মন্ত্রীকে।
আপাতত দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ ৫৬-২। দুই নৈশপ্রহরীর পর আগামীকাল ব্যাট করবেন মধ্যপ্রদেশের মহারথীরা। রজত পাতিদার-ভেঙ্কাটেশ আইয়ার-শুভম শর্মার সামনে বাংলার পেস ত্রয়ী এবং স্পিনার-দ্বয় কেমন বল ফেলেন তার ওপর নির্ভর করছে বাংলার ফাইনাল ভাগ্য।