সকালটা যদি সারা দিনের ইঙ্গিতবাহী হয় তবে গোটা সিরিজ জুড়ে ভারতীয় স্পিনাররা অসিদের বেশ ভোগাবে বলে মনে হচ্ছে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত স্মিথ লাবুশানে জুটি যেভাবে এগোচ্ছিলেন তাতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে ক্রমশঃ বড় ইনিংসের ভিত্তিপ্রস্তর গড়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছিল।লাঞ্চের পর জাদেজার দূরন্ত প্রত্যাঘাতে যোগ্য সঙ্গত অশ্বিনের এবং ২ উইকেটে ৮২ থেকে ঘন্টাখানেকের মধ্যে যে স্কোর ১৩৬/৫ হয়ে গেল তাতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের ছবি স্পষ্ট।
ভারতীয় উইকেটে স্পিনারদের সাবলীলভাবে খেলার জন্য অফুরন্ত ধৈর্য্যের সহাবস্থান হিসেবে যেটা সবচেয়ে জরুরি তা হল পরিকল্পিত তথা নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন।ফ্রন্ট ফুটে গিয়ে স্টেপ আউট করে স্ট্রোক খেলতে পারার মধ্যে বোলারের সহজাত ছন্দকে নষ্ট করতে চাওয়ার যে তাগিদ স্মিথের খেলায় দেখা গেল বাকীদের মধ্যে সেটা সংক্রামিত না হতে পারার ফলশ্রুতিতে স্কোর বোর্ড দেখাচ্ছে অষ্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ১৭৭ এ শেষ। ভারতীয় ব্যাটিং এর টপ অর্ডার এই উইকেটে একই ভুল না করলে অষ্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন কিন্তু ক্রমশঃ ফিকে হতে শুরু করবে।লায়ন ছাড়া অসিদের স্পিন বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ,জাদেজা অশ্বিন সুলভ ভেলকি তাদের তরুণ ব্রিগেড কতটা দেখাতে পারবে সে সংশয় থাকছেই।