নাসিম শাহর দুই ছক্কায় অবিশ্বাস্য জয়। ফাইনালে পাকিস্তান, ভারত এশিয়া কাপের বাইরে!

বলা হচ্ছিল, ভারতের জন্য এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে । তার জন্য বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রশিদ খানদের জিততেই হবে। আর শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে পাকিস্তানকে। আর ভারতকে অবশ্যই জিততে হবে আফগানদের বিরুদ্ধে।

না, সব হিসাব-নিকাশ ওলট পালট করে দিল পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান
নাসিম শাহ। তার দুটো ছক্কায় পাকিস্তান চলে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে। আর সেই সঙ্গে ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচের সাক্ষী হলো শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখল স্টেডিয়ামের কয়েক লক্ষ মানুষ!

১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে পাকিস্তান। আর এতে এশিয়া কাপ থেকে বাইরে চলে গেল ভারত সেইসঙ্গে আফগানিস্তানও।

বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে আফগান অধিনায়ক হুংকার দিয়েছিলেন। ভারত নাকি তাতে কিছুটা আশা দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু আফগানদের সেই হুংকার কুলে এসে তরী ডুবল। প্রায় জয়ের মুখ থেকে ফিরে গেল আফগানরা। অবিশ্বাস্যভাবে কোনক্রমে ১ উইকেটে জিতে পাকিস্তান চলে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে।

শুরু থেকে কোন সময়ই আফগানরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। পাকিস্তানের বোলিংয়ের সামনে এদিন আফগানরা ছিল দিশেহারা। ছয় উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পেরেছে মাত্র ১২৯ রান।

লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রান। এই অল্প রানের পুঁজি নিয়েই শুরুতেই জোড়া উইকেট পাকিস্তানের। চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান বাবর আজম আর ফাখর জামান।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাবরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ফজলহক ফারুকি। আফগান পেসারের বলে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত সুবিধা করতে না পারা পাকিস্তান অধিনায়ক।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ ৩৩ বলে ২৭ রানের ধীরগতির এক জুটি গড়েন।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে রিজওয়ানকে (২৬ বলে ২০) এলবিডব্লিউ করে জুটিটি ভাঙেন রশিদ খান। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে আফগানদের চমকে দিয়ে শাদাব খানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান।
শাদাব প্রমোশন পেয়ে খেলার গতি বাড়ান। ২ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অনেকটা ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন তিনি। কিন্তু ইফতিখার খেলছিলেন একদম বেশি সতর্কতার সঙ্গে। ৩৩ বলে ৩০ রান করে ফরিদ আহমেদের শিকার হন ডানহাতি এই ব্যাটার। ভাঙে ৪১ বলে ৪২ রানের জুটি।

পাকিস্তানের তখন ২৭ বলে দরকার ৪৩। আফগান বোলাররা চাঙা হয়ে উঠেন। মারমুখী খেলছিলেন শাদাব খান। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানকে ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলে আবারও মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যানে ক্যাচ হন শাদাব।
এরপর পাকিস্তানের ইনিংসে শুধু যাওয়া আর আসা। তারপর অনেকক্রমে আল্লার দোয়া আর নাসিমের কৃতিত্বে জয় নিয়ে ফাইনালে চলে যাওয়া।