এই রেকর্ডের ভিত্তিতে পাকিস্তানের দশম ব্যাটসম্যান হলেন ইমাম-উল-হক

পাকিস্তানের পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে পাকিস্তান। ১৯৯৮-৯৯ মরসুমের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানে টেস্ট-সিরিজ খেলছে।

সেই টেস্টের দুটি ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দশম পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান হিসেবে এই রেকর্ড করলেন ইমাম-উল-হক। এই রেকর্ডবইতে নাম রয়েছে হানিফ মহম্মদ থেকে মিসবা-উল-হক পর্যন্ত মোট ৯ জনের।

সম্পূর্ণ পাটা পিচে প্রথমে ব্যাট করে আজহার আলীর ১৮৫ এবং ইমামের ১৫৭ পাকিস্তানকে ৪৭৬ রানে পৌঁছে দেয়। অলআউট করা দূরের কথা, স্টার্ক-কামিন্স-হেজলউড-লায়নের মতো অমিতশক্তিধর বোলিং ১৬২ ওভার বল করে মাত্র ৪ উইকেট ফেলতে পারেন।

এরপর ব্যাট করে উসমান খাওয়াজা এবং মার্নাস লাবুশেন যথাক্রমে ৯৭ ও ৯০ করলে এবং পরে স্টিভ স্মিথ ৭৬ রান যোগ করলেও ব্যাটিং ল্যাজের সাময়িক ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ করে ৪৫৯ রানে। পাকিস্তানের নৌমান আলী ৬টি উইকেট নেন।

আজ পঞ্চমদিন ব্যাট করতে নেমে নবাগত আব্দুল্লাহ শফিক এবং ইমাম দুজনেই সেঞ্চুরি করেন এবং ইনিংসে ৭৭ ওভার ব্যাট করে তারা যখন খেলা শেষ করে ফিরছেন তখন দল ২৫২-০। আব্দুল্লাহ শফিক অপরাজিত থাকেন ১৩৬ রানে এবং ইমাম-উল-হক অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে।

পাকিস্তানের পক্ষে দুই ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ১৯৬১-৬২ মরসুুমে হানিফ মহম্মদ (১১১, ১০৪)। এরপর ১৯৮৪-৮৫ মরসুুমে জাভেদ মিয়াঁদাদ (১০৪, ১০৩*), ১৯৯৮-৯৯ মরসুুমে ওয়াজাতুল্লাহ ওস্তি (১৩৩, ১২১*), ২০০৩-০৪ মরসুুমে ইয়াসির হামিদ (১৭০, ১০৫), ২০০৫-০৬ মরসুুমে ইনজামাম-উল-হক (১০৯, ১০০*), ২০০৬-০৭ মরসুুমে মহম্মদ ইউসুফ (১০২, ১২৪) এবং ২০১৪-১৫ মরসুুমে ইউনিস খান (১০৬, ১০৩*), আজহার আলি (১০৯, ১০০*) এবং মিসবা-উল-হক (১০১, ১০১*) এই রেকর্ড করেন। শেষের তিনজনই আরব আমিরশাহীর মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন, প্রথম ছ’জন করেছিলেন পাকিস্তানের মাটিতে। আজ দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ইমাম নিজের কাকা ইনজামামের সঙ্গে একাসনে বসলেন।