ভারতীয় শিবিরের জন্য আপাতত খুব স্বস্তিদায়ক বার্তা নেই। গতকাল ওভালের মূল পিচের পাশের বাইশ গজে অনুশীলন চলাকালীন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কয়েকজন পিচের অতিরিক্ত বাউন্স সামলাতে গিয়ে নাকানিচুবানি খেয়েছেন এবং মনে করা হচ্ছে আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পিচের চরিত্রও অনুরূপ হতে পারে। অনুশীলনের ছবি টুইটারে পোস্ট করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন একথা জানিয়েছেন।ওভালের উইকেট বরাবরই পেসারদের তুলনায় স্পিনারদের জন্য সামান্য বেশী সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পরিচিত তবে এবারের পিচে দুই দলের পেসাররা আগুন ছড়ালে অবাক হওয়ার থাকবে না। ভারতীয় দল এর সম্ভাব্য বোলিং কম্বিনেশন এখনও স্পষ্ট নয়।তিন পেসার – দুই স্পিনার নাকি চার পেসার – এক স্পিনার কোন ছক রাহুল দ্রাবিড়দের রণকৌশল এর অঙ্গ হবে সেই নিয়ে কৌতুহল থাকছেই।তবে এটা সত্যি অসিদের পেস আক্রমণ তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী। যশপ্রীত বুমরাহ না থাকায় ভারতীয় দলের পেস বোলিং বিভাগ কিছুটা দূর্বল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং রবি শাস্ত্রীও। ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ মনে করেন এই ম্যাচে বুমরাহ এর অভাব অনুভব করবে ভারতীয় দল। মহম্মদ শামি যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং বিদেশের মাটিতে একাধিক সাফল্যের কারিগর কিন্তু উমেশ বা সিরাজ শামির সমগোত্রীয় নন।ফলে পূর্ণশক্তির অষ্ট্রেলিয়া পেস বোলিং ইউনিটের তুলনায় ভারতীয় বোলিং লাইন আপ বেশ পিছিয়ে এটা স্বীকার করে নেওয়া উচিত।দু দলের ব্যাটিং শক্তি প্রায় তুল্যমূল্য।
ভারতীয় ওপেনিং জুটি ইদানিং কালে বিদেশের মাটিতে নিরবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা না দেখাতে পারলেও শুভমন গিলের সাম্প্রতিক ফর্ম নিঃসন্দেহে স্বস্তিসূচক। তিন নম্বরে ক্রাইসিস ম্যান হিসেবে নিজের গ্রহণযোগ্যতা আরও একবার প্রমাণ করার দায়িত্ব পূজারার কাঁধে তবে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের সিংহভাগ কৌতুহল নিবন্ধ থাকবে যার ওপর তার রাজকীয় ভঙ্গিমায় প্রত্যাবর্তন ভারতীয় শিবিরের পক্ষে সবচেয়ে ইতিবাচক।কিং কোহলি নিজের জাত চেনানোর জন্য ওভালের বাইশ গজ কে বেছে নিলে কামিন্স – স্টার্কের যুগলবন্দী বনাম ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ এর চার নম্বর ব্যাটসম্যান এর দ্বৈরথ চিত্তাকর্ষক হতে বাধ্য। ভারতীয় দলে ফিরে আসা প্রাক্তন সহ অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের ও অগ্নিপরীক্ষা নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার।ডেভিড ওয়ার্নার সাম্প্রতিক অতীতে ছন্দ হারালেও তার অভিজ্ঞতা অসিদের অন্যতম সম্পদ।তবে স্মিথ,লাবুশানে,খোয়াজা সমৃদ্ধ অসি ব্যাটিং লাইনআপ নিঃসন্দেহে ভারতীয় বোলারদের জন্য অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জ।