চালকের আসনে অষ্ট্রেলিয়া,কাল প্রথম সেশনে অগ্নিপরীক্ষা ভারতীয় বোলারদের

মেঘলা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া নাকি আই সি সি এর ক্রমতালিকায় পয়লা নম্বর বোলারকে ড্রেসিংরুমে বসিয়ে রেখে মাঠে নামা — রোহিত শর্মাদের কোন আত্মঘাতী সিদ্ধান্তটি শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সামগ্রিক ভাগ্য নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে সে বিচার সময়সাপেক্ষ তবে ৭৬/ ৩ থেকে প্রথম দিনের শেষে অসিদের স্কোর তিন উইকেটে ৩২৭ অবধি গড়ানোর মধ্যে কিন্তু অদূর ভবিষ্যতের অশনি সংকেত এর ইঙ্গিত।

প্রথম ঘন্টায় সামি সিরাজদের আগুনে স্পেল দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল গাভাসকার সৌরভদের মূল্যায়ণ শেষ অবধি না ভুল বলে সাব্যস্ত হয়।খোয়াজা দ্রুত ফেরার পর ওয়ার্নার লাবুসেন জুটি তখন ওভালের সবুজ আভায় রীতিমতো নাকানিচুবানি খাচ্ছেন।এমন উইকেটে অশ্বিন অন্ততপক্ষে খুব কার্যকরী হতেন না এমন ভাবনার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশঃ ডালপালা মেলার পথে। মেঘ কেটে গিয়ে রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকাল উঁকি দিতেই অবশ্য ভারতীয় বোলারদের যাবতীয় জারিজুরি শেষ। ওয়ার্নার এর আগ্রাসনে প্রাথমিক প্রত্যাঘাতের প্রতিধ্বনি ছিল।পরে ট্রেভিস হেড তাকে আর‌ও বিধ্বংসী চেহারায় উপস্থিত করে রোহিতের বোলিং ইউনিটকে একেবারে শিক্ষানবীশ এর স্তরে নামিয়ে আনলেন। টেস্ট ফাইনালের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সেঞ্চুরির নজিরের চেয়েও এই ইনিংস এর তাৎপর্য অন্য জায়গায়। মহম্মদ সামির মত অভিজ্ঞতাও খেই হারিয়ে ফেলায় মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছিল ২০ বছর আগের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালের অ্যাকশন রিপ্লে দেখছি না তো? সেদিন রিকি পন্টিং আর ডেমিয়েন মার্টিন।আজ হেডের সুযোগ্য সহচরের ভূমিকায় প্রাক্তন অধিনায়ক।স্মিথ শুরুর জড়তা কাটিয়ে উঠে সাবলীল হয়ে উঠতেই এই জুটি প্রথম দিন‌ই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পক্ষে নিয়ে নিল এমন মতবাদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ আছে।

বিপক্ষ যে আপাতত চালকের আসনে সেটা অনুমান করার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হ‌ওয়ার প্রয়োজন নেই।তবে এই খেলার মহান অনিশ্চয়তার তত্ত্বের সাযুজ্যবাহী কোন অত্যাশ্চর্য ভেলকিবাজি কাল প্রথম সেশনে বিলেতের ততোধিক অনিশ্চিত আবহাওয়ার কল্যানে দেখতে পাওয়া গেলে এখন‌ও প্রত্যাবর্তনের ক্ষীণ সম্ভাবনাকে বাস্তবসম্মত মনে করা যেতে পারে। আপাতত রাহুল ব্রিগেডের সম্মিলিত প্রার্থনা সেটাই।