ক্রিকেট আরকাইভ তাঁর নামের পাশে দেখায় তাঁর লিস্ট-এ ম্যাচের সংখ্যা ৩ এবং আইপিএলের দুটি ম্যাচ বাদ দিলে মাত্র ৭টি টিটোয়েন্টি ম্যাচ। কিন্তু চলতি ২০২২ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস ম্যাচের আগে বিজয় শঙ্কর চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় গুজরাট টাইটান্স দলের তিন নম্বরে ব্যাট করার গুরুদায়িত্ব যখন তাঁর ওপর এসে পড়ে তখন তা বেশ দায়িত্বশীল ভাবেই পালন করেন তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটার।
ঠিক ধরেছেন। কথা হচ্ছে তামিলনাড়ুর ভরদ্বাজ সাই সুদর্শনকে নিয়ে। নিজের অভিষেকে কাগিসো রাবাদা – আর্শদীপ সিং – রাহুল চাহার সম্বলিত অ্যাটাককে সামলে যিনি শুভমান গিলের সঙ্গে ১০১ রানের পার্টনারশীপ করলেন তাঁকে নিয়ে কিছু নিউজপ্রিন্ট যে খরচা হবেই এটা আর বাতুলতা কি?
১৫ই অক্টোবর ২০০১ সালে তামিলনাড়ুর একটি খেলোয়াড়ি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সাই সুদর্শন। বাবা ভরদ্বাজ ছিলেন অ্যাথলিট। সাফ গেমসে ভারতীয় দলেও খেলেন তিনি। এবং মা উষা ভরদ্বাজ ছিলেন তামিলনাড়ু রাজ্য দলের ভলিবল খেলোয়াড়।
বেশী লিস্ট-এ বা টিটোয়েন্টি না খেললেও তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে বেশ নজর কেড়েছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। লাইকা কভাই কিংস দলের হয়ে ২০২১ সালে অভিষেকেই সালেম স্পার্তান্স দলের বিরুদ্ধে ৪৩ বলে ৮৭ রান করেন সুদর্শন। বলে রাখা ভালো যে এই বিপক্ষ দলে ছিলেন থাঙ্গারাসু নটরাজন, মুরুগান অশ্বিন এবং ‘তামিলনাড়ু মালিঙ্গা’ নামে খ্যাত জি. পেরিয়াস্বামী। এরপরে সম্পূর্ণ মরশুমে ৮ ইনিংসে ৩৫৮ রান করেন ৭১.৬০ গড় এবং ১৪৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে।
এরপরে একই বছরে অভিষেক তামিলনাড়ুর টিটোয়েন্টি এবং ওয়ান-ডে দলে। ওয়ান-ডে অভিষেকে ধবল কুলকার্নি – তুষার দেশপান্ডে – মোহিত অবস্তি – তনুষ কোটিয়ান – শিবম দুবের মুম্বাই দলের বিরুদ্ধে ওপেন করে করেন ২৪। এরপরে কর্ণাটক ম্যাচে করেন ১৮ এবং বাংলা ম্যাচে করেন ১২।
টিটোয়েন্টি অভিষেকে মহারাষ্ট্র দলের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ৩৫ রান করেন তিন নম্বরে নেমে। এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমি-ফাইনাল ম্যাচে কেরালার বিরুদ্ধে করেন গুরুত্বপূর্ণ ৪৬, তার আগে হায়দ্রাবাদ দলের বিরুদ্ধেও ছিলো একটি ৩৪। এরপরে ফাইনালে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। করুন নায়ারের বলে লেগ-বিফোর হয়ে মাত্র ৯ রানে ফিরে যান তিনি।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করে ইনিংসে গতি দেওয়ার ক্ষমতা আজ তাঁর মূল্য নির্ধারণ করেছে ২০ লক্ষ টাকা। গুজরাট টাইটান্স দল যদি তাঁর লেগস্পিন ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে পারে তবে হয়তো আরো মূল্যবান হবেন তিনি।