রাজস্থান মাঠে প্রথমবার দেখি একজন বাঁ-হাতি স্পিনারকে। নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে লিগ ম্যাচে বেশ ভালো বোলিং করে তিনি ভেঙেছিলেন দীপাঞ্জন মুখার্জী ও শ্রেষ্ঠর মধ্যে হওয়া পার্টনারশিপ।
অ্যাকশন বেশ আলাদা রকম। হাঁটতে হাঁটতে শুরু করা রান-আপ দুই পা এগোনোর পরেই পরিবর্তন হয়ে একটু দ্রুততায়। তারপরে একই সময় উঁচুতে ওঠে দুটি হাত এবং এরপরে নন-বোলিং আর্ম আসে একটু নিচে এবং কিছুটা উচ্চতায় থাকা বোলিং আর্ম থেকে বল আসে ব্যাটসম্যানের কাছে। অবশ্য পরিবর্তনও হয় মাঝে মাঝে। আপনি ব্যাটসম্যান হলে হাল্কা সাইড-আর্ম অ্যাকশনেও বল পড়ে ভড়কে দিতে পারে আপনাকে।
বাঁ-হাতি স্পিনার অনির্বাণ গুপ্ত নিজের বোলিংয়ের মুন্সিয়ানা দেখিয়ে অবনমন থেকে বাঁচিয়েছেন বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে বা বি.এন.আর দলকে। ব্যাট হাতে সৌম্যব্রত নাথ, মহম্মদ ইরফান, বিশাল ঘোষ যেমন ছিলেন তেমনই বল হাতে ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে নিজের ভূমিকায় অনন্য ছিলেন অনির্বাণ।
অবনমন লিগের প্রথম ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে টালিগঞ্জ ইনিংসের ৭৮তম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট নিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন অনির্বাণ। ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে একটু লেট্ খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন টালিগঞ্জ দলের দীপক প্রসাদ, পরের বলেই নবাগত দীপাংশু চাড্ডার ব্যাট ছুঁয়ে আবার যায় প্রথম স্লিপে এবং তার পর আবার প্রথম স্লিপে সেই একই ফিল্ডার আকাশদীপ ঘোষের হাতে ক্যাচ দেন রূপঙ্কর ঘোষ দস্তিদার। সেই ম্যাচেই যদি বোলারদের থেকে আরো সাহায্য পেতেন তবে হয়তো বিপক্ষের সেট ব্যাটার লোকেশ প্রয়োজনীয় ৩৩২ রান তুলে টাই করতে পারতেন না সেই ম্যাচ।
এরপরে নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে হাই কোর্ট মাঠে অবনমন ম্যাচে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। উইকেটগুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ওপেনার শুভম সিং, শ্রেষ্ঠ, নির্ভরযোগ্য ব্যাটার দীপাঞ্জন মুখার্জী, উইকেটরক্ষক পাবিৎ সিং এবং শেষ ব্যাটার প্রতীক রঞ্জন – ছিলেন তাঁর শিকারের লিস্টে।
অভিনন্দন অনির্বাণ গুপ্তকে।