চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকের আমলের ক্রিকেটাররা নাকি মাঠের মধ্যে অভিব্যক্তির প্রকাশ বিশেষ করতেন না। তবে ড্রেসিংরুমে বা ব্যক্তিগত পরিসরে করতেন না, এমনটা বিলক্ষণ নয় বলেই পড়েছি / শুনেছি। তাই ভাবছি ভিনু মানকড় কি এখন ডন ব্র্যাডম্যান আর রে লিন্ডওয়ালের সঙ্গে বসে বসে হাসছেন! কেন? আসলে, গতকাল খবরে পড়লাম যে এম.সি.সি নাকি আগামী ১লা অক্টোবর থেকে (আরো কিছু ক্রিকেটীয় নিয়মের সঙ্গে) এবার রান-আউটের নিয়মের কিছু ‘রদ-বদল’ ঘটাতে চলেছে।
বেশ কথা – তাহলে প্রায় ৭৫ বছর লাগল ‘ক্রিকেটীয় দিগগজ’-দের ‘সরকারীভাবে’ স্বীকার করতে যে ভিনু মানকড় ১৯৪৭ সালের ১৮ই নভেম্বর বা ১৩ই ডিসেম্বর ওপেনার বিল ব্রাউনকে রান-আউট করে না করেছিলেন কোনও ‘বেআইনি’ কাজ, না দেখিয়েছিলেন কোনও ‘অখেলোয়াড়ী’ মনোভাব! যদিও ব্রাউন নিজে এবং (তৎকালীন) ক্রিকেটের আরো দুই চির-স্বনামধন্য খেলোয়াড় তাঁর এই কাজ বা মনোভাব নিয়ে সেইসময়ই তাঁকে ‘ক্লিন-চিট’ দিয়েছিলেন।
ডন ব্র্যাডম্যান: [“Farewell to Cricket”]
“In some quarters Mankad’s sportsmanship was questioned. For the life of me I cannot understand why. The laws of cricket make it quite clear that the non-striker must keep within his ground until the ball has been delivered. If not, why is the provision there which enables the bowler to run him out? By backing up too far or too early, the non-striker is very obviously gaining an unfair advantage. On numerous occasions he may avoid getting run out at the opposite end by gaining this false start. … Mankad was an ideal type, and he was so scrupulously fair that he first of all warned Brown before taking any action. There was absolutely no (ill) feeling in the matter as far as we were concerned, for we considered it quite a legitimate part of the game.”
রে লিন্ডওয়াল: [“Flying Stumps”]
“Accusations of bad sportsmanship were made against spinner Vinoo Mankad for the running out of Bill Brown at Sydney in the 2nd Test but these were most unfair to the bowler. Unconsciously, Bill had developed a habit of leaving his crease before the bowler had released the ball and in the previous game played at Sydney by the Indians, against an Australian XI Mankad ran him out after warning him that he was breaking the rules. That caused comparatively little stir, probably because it happened in a less important game, … If a batsman infringes the written laws, he can have no grouse against a bowler not conforming to an unwritten law. To all young batsmen, I recommend care to ensure that they do not back up too far and allow the bowler the chance to run them out. There are enough ways of being dismissed apart from that.”
ওপরের ছবির খবরটি আর দু’টি উদ্ধৃতি পড়ে দেখুন, একটু কষ্ট করে। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!
এই সঙ্গে একই জাতীয় ‘দুর্নাম’ থেকে, প্রায় ৫৩ বছর বাদে, মুক্ত হলেন ১৯৬৯ সালের ২৯শে জানুয়ারিতে অ্যাডিলেড টেস্টে ইয়ান রেডপাথ-কে রান-আউট করা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসার চার্লি গ্রিফিথ। মুক্ত হলেন আরো কয়েকজন বোলার, যেমন, ১৯৭৮ সালের ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ডেরেক রান্ডাল-কে রান-আউট করা কিউয়ি পেসার ইউয়েন চ্যাটফিল্ড, ১৯৭৯ সালের পার্থ টেস্টে সিকন্দর বখত-কে রান-আউট করা অসি পেসার অ্যালান হার্স্ট, প্রমুখ।
সজ্ঞানে-অজ্ঞানে-অর্ধজ্ঞানে “doing a Mankad” বা “getting Mankaded” এইজাতীয় অন্যায়, অন্যায্য বর্ণনার ব্যবহারকারীরা (ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার-বিশেষজ্ঞ-সাংবাদিক-লেখক সমেত), ব্যাপারটা ভাল করে মাথায় ঢুকিয়ে নিলেই বুদ্ধিমানের কাজ করবেন, কারণ গত পঁচাত্তর বছর ধরে ক্রিকেটীয় আইন না জেনে (নাকি জানতে চেষ্টা না করে!) আপনারা এক মহান ভারতীয় অল-রাউন্ডারের অনেক বদনাম করেছেন – আর করবেন না, দয়া করে!