টিটোয়েন্টিতে সেরা ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের সেরা সৌরভ।

তপন মেমোরিয়াল ইনিংসের তৃতীয় ওভার। ব্যাট করছেন গৌরব চৌহান এবং তরুণ গোদারা। ওভারের প্রতিটা বল রাউন্ড-দ্য-উইকেট আসা বোলারের হাত থেকে পড়ছিল অফ-স্টাম্প লাইনে এবং সামান্য ইনস্যুইং করে আসছিল ব্যাটারের কাছে। বেশ কয়েকবার লেগ-স্টাম্প থেকে সরে এসে জায়গা তৈরী করা ব্যাটারও সুবিধা করতে পারছিলেন না বাঁ-হাতি সৌরভ মন্ডলের সামনে।
অবশ্য সুবিধা করতে সক্ষম হননি তপনের কোন ব্যাটারই। লিগে সর্বোচ্চ রান করা কুলদীপ দেবাত্বয়াল থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা কাইফ আহমেদ পর্যন্ত ধরাশায়ী হলেন বারবার। একমাত্র উজ্জ্বল ছিলেন কিপার-ব্যাটার শাকির হাবিব গান্ধী। ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সোহম ঘোষকে একটি ছক্কা এবং অয়ন ভট্টাচাৰ্যকে স্ট্রেট-ড্রাইভ করে একটি চার মেরে তিনি ভালোই এগোচ্ছিলেন, কিন্তু যথার্থ সঙ্গীর অভাবে ১২ বলে ১৮ রানেই শেষ হয়ে যায় তাঁর ইনিংস।


বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের খেলার ওভার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯। সেই নির্ধারিত ৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তপন মেমোরিয়াল তোলে ৫৫ রান। সৌরভ মন্ডল ২ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
ব্যাট করতে নেমে দুই ইস্টবেঙ্গল ওপেনার রণজ্যোৎ সিং খাইরা এবং অঙ্কুর পাল শুরুটা বেশ ভালোই করেন। অঙ্কুর খুব ছন্দে না থাকলেও রমেশ প্রসাদকে একটি বিশাল ছক্কা কাউ-কর্নার দিয়ে মেরে নিজের ফর্ম ধরে রাখা জানান দেন রণজ্যোৎ। এরপরে এক-দুই করে খেলে খেলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন দুই ইস্টবেঙ্গল ওপেনার। ইনিংসের শেষদিকে তুলে মারতে গিয়ে অঙ্কুর পাল (২৩ বলে ১৬) আউট হলেও খুব সমস্যা হয়নি লাল-হলুদ দলের। শেষ ওভারে যখন চার রান বাকি তখন নিজেদের মধ্যে সিঙ্গল খেলে রণজ্যোৎ খাইরা এবং সুদীপ ঘরামি লক্ষ্য ছোট করে নেন এবং গৌরব চৌহানের করা ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বল লং-অনে লফ্ট করে দুই রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন খাইরা।
অসাধারণ বোলিং করার জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন সৌরভ মন্ডল।