১২ই মার্চ থেকে ৯ই এপ্রিল,২৭ দিন ধরে দমদম ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনুর্ধ-১৩ ছেলেদের নিয়ে লিটল মাস্টার্স কাপ।
৯ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ক্লাবের হেড কোচ অম্বরীশ মিত্রর উদ্যোগে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদার, অর্ণব নন্দীর মতো অভিজ্ঞরা, ছিলেন অভিষেক পোড়েল, শুভম সরকারের মতো জুনিয়ররাও। তেমনই শামিল হয়েছিলেন বিভাস দাসের মতো ক্রিকেট কোচ, লক্ষীরতন শুক্লা এবং সৌরাশিস লাহিড়ীর মতো বাংলা দলের ক্রিকেট কোচরাও।
গতকাল অভীক চৌধুরীর ডি. সি. সি ক্লাব এবং সনৎ চ্যাটার্জী ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে হওয়া ফাইনালে ডি. সি. সি ক্লাব প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তোলে ২২০ রান। জবাবে সনৎ চ্যাটার্জী ক্রিকেট ক্লাব ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৬ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।
গতকাল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা দলের ব্যাটিং স্তম্ভের অন্যতম এক সদস্য অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনি বললেন, “অম্বরীশ খুব ভালো বন্ধু আমার, অনেকদিন আগেই আসতে বলেছিল। এই অনুর্ধ-১৩ এবং জুনিয়র ম্যাচগুলি খেলোয়াড়কে উদ্বুদ্ধ করে। এটা অনেকের আত্মবিশ্বাস পাওয়ার কারণ হয়, আমরাও এরকম খেলেছি ছোটবেলায় এবং সেখানেই সূত্রপাত। এখান থেকে হয়তো কেউ ভারতীয় দলে খেলবে। এখন টিটোয়েন্টির যুগ হলেও আমি মনে করি একটু বড়ো ফরম্যাট খেললে খেলোয়াড়রা বেশি পরিণত হবে।”
এছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাক্তন বঙ্গ ক্রিকেটার অজয় ভার্মা। তিনি বলেন,”অনুর্ধ-১৩ ছেলেদের প্রতিযোগিতামূলক খেলা খেলা দরকার। অনেক সময় দেখা যায় এরা ম্যাচ পায়না। ওদের বেসিক ক্রিকেট খেলা দরকার, এরকম টুর্নামেন্টও হওয়া দরকার।”
টুর্নামেন্টের মূল উদ্যোক্তা অম্বরীশ মিত্রর কথায়, “চেষ্টা ছিল কিছু করার, কিন্তু অনেক ভালো উইশ পেয়েছি। আমার ছাত্ররাই বেশ অ্যাক্টিভভাবে টুর্নামেন্ট সামলে দিয়েছে। বৃষ্টির জন্য একটা সপ্তাহ ফাইনাল পিছিয়ে গিয়েছে। ওরা সকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা-১১টা অবধি থেকে মাঠ রেডি করেছে।” তিনি আরো বলেন, “টিটোয়েন্টি ফরম্যাটে আমি করাতে চাইনি। কিন্তু যেহেতু লিগ এবং নকআউট নিয়ে মোট ৩১টা ম্যাচ তাই বড়ো ফরম্যাট করলে বেশী সময় পেতাম না এবং এরপর বর্ষা চলে আসতো।”
দমদম ক্লাবের টেকনিকাল ডিরেক্টর উপল মুখার্জীর কথাতেও ঝড়ে পড়লো একই সুর। তাঁর মতে এই বছর কম সময়ই বড়ো ফরম্যাটে টুর্নামেন্ট করার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন “আমরা পরের বছর একটু বেশী ওভারের টুর্নামেন্ট করতে চাই এবং সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট।”
বিজিত দলের কোচ অভীক চৌধুরী বলেন, “ম্যাচ প্র্যাক্টিস বাচ্চাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটা যে কোনো ফরম্যাটেই হোক। সেইখানে এতো সুন্দর একটা টুর্নামেন্ট অম্বরীশ শুরু করেছে এটা বেশ ভালো।” তিনি আরো বলেন, “টিটোয়েন্টি হয়তো বাচ্চাদের জন্য ঠিক নয়, তবে যেহেতু টিটোয়েন্টির যুগ এখন তাদেরও তৈরী হতে হবে।”
সব মিলিয়ে দুর্দান্তভাবে শুরু হয়েছে একটি টুর্নামেন্ট, শেষটিও জমকালো। এখন অম্বরীশ মিত্র, উপল মুখার্জী এবং কোম্পানি নিশ্চয়ই চাইবেন আরো এগিয়ে যেতে। লিটল মাস্টার্স কাপও হবে “অনওয়ার্ডস অ্যান্ড আপয়ার্ডস।”