স্বপ্ন ছিল নিজের শহরে নিজের নামে অত্যাধুনিক ক্রিকেট আকাদেমি করবেন। এই মর্মে আবেদন জানাতেই ৩৩ বছর আগে সরকার তাঁকে অভিজাত বান্দ্রায় ২১ হাজার ৩৪৮ স্কোয়্যার ফিটের যে জমি দিয়েছিল, তা অবশেষে সরকারকেই ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সুনীল গাভাসকার। টাকা জোগাড় করতে না পারার কারণেই পিছিয়ে যেতে হল তাঁকে। এই দীর্ঘ ৩৩ বছরে সব সরকারই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন আকাদেমি গড়ার কাজটা কত দূর এগোল। ‘চেষ্টা চলছে’ এ জাতীয় কথা বলে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে তাঁর ফাউন্ডেশন টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু এখনকার সরকারের আবাসন মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওহাদ যখন আবার তাঁর কাছে আকাদেমির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, তখন গাভাসকার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন যে, ‘তিনি ওই জমি আর আটকে রাখতে চান না। ফেরত দিতে চান।
সরকার যেন কাগজপত্র তৈরির দিকে নজর দিতে শুরু করে।’ দুটি আন্তর্জাতিক পানীয় সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছিল। ওই দুটি কোম্পানি শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ায় গাভাসকার এগোতে পারেননি। স্টেডিয়াম তৈরির নকশা, স্থপতির সঙ্গে কথাবার্তা, পরিকল্পনার সব কাগজপত্র সরকারের কাছে তিনি পাঠিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুতেই টাকার অঙ্ক জোগাড় করতে পারছিলেন না। মুম্বইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীরা খুশি হয়েছিলেন যখন ৬ মাস আগে শচীন তেন্ডুলকারকে নিয়ে স্বয়ং গাভাসকার আকাদেমির জন্য চিহ্নিত ওই জমিতে গিয়েছিলেন। সেদিনই ভারতের দুই কৃতি সন্তান যৌথভাবে জানিয়েছিলেন এই জমিতে দুজনে মিলে আকাদেমি গড়ার কাজে মন দেওয়া হবে। দুজনকেই ওই ঘেরা জমিতে দেখে আশা করা হয়েছিল, এবার বুঝি কাজ শুরু হবে। তবু, সম্ভব হল না। ক্রমাগত সমালোচিত হচ্ছিলেন গাভাসকার জমি আটকে রাখার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে এখন তিনি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সঙ্গে সরকারকে এটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, এমন প্রকল্পে যদি তাঁর কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তিনি আগ্রহের সঙ্গে তা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকবেন। সরকার এখন বলছে, এই জমিকে খেলাধূলার উন্নতির কাজেই লাগানো হবে।