আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল।বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারবেন না কে এল রাহুল।আজ নিজেই ব্যাক্তিগত ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সেকথা জানিয়েছেন রাহুল।এর ফলে ফাইনালে রোহিতদের সম্ভাব্য রণনীতি যে জোর ধাক্কা খেল সেকথা বলাই বাহুল্য। গতবছরের দূর্ঘটনার পর থেকে সুস্থ হওয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে ওভালের ম্যাচে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহুলই সম্ভবতঃ টিম ম্যানেজমেন্ট এর প্রথম পছন্দ ছিলেন। অনভিজ্ঞ শ্রীকর ভরতকে ফাইনালে খেলানো হবে এমন সম্ভাবনার ওপর বাজি না ধরার প্রধান কারণ সাম্প্রতিক অতীতে তার সাদামাটা পারফরম্যান্স। অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে উইকেটের পেছনে এবং ব্যাট হাতে এই দ্বৈত ভূমিকায় কখনই তাকে পন্থের নির্ভরযোগ্য বিকল্প বলে মনে হয় নি। বরং ইদানিং ব্যাটসম্যান রাহুলের পড়তি ফর্ম সত্ত্বেও বড় ম্যাচের চাপ সামলানোর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৭-১১ ই জুন অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে তার খেলার সম্ভাবনাই জোরালো ছিল।
এখন তিনি ছিটকে যাওয়ায় দলে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। রাহুলের পরিবর্ত হিসেবে সম্প্রতি বাতিলের খাতায় নাম লেখানো ঋদ্ধিমান সাহা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এর অঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় দলের দরজা তার জন্য চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উপযুক্ত বিকল্পের অভাবে রাহুল দ্রাবিড় এন্ড কোং ফের তার কথা ভাবতে বাধ্য হলে আশ্চর্য হওয়ার নেই। দুবছর আগের ফাইনালে হারের তিক্ত স্মৃতি ভুলে এক দশকের আই সি ট্রফির খরা ঘোচাতে মরিয়া ভারতীয় দল অষ্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ন্যুনতম ঝুঁকি নিতে চাইবে না এই ব্যাখ্যা সহজবোধ্য। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এর অঙ্কে শ্রীকর ভরত ভরসাযোগ্য হিসেবে বিবেচিত না হলে শিলিগুড়ির বঙ্গসন্তান ফের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসতে পারেন এমন সম্ভাবনার কথা বিরাটদের প্রাক্তন হেড স্যারের জবানিতে শুনতে পাওয়ার পর শাস্ত্রীয় মতবাদে রোহিত বাহিনী তথা জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলী কতটা প্রভাবিত হয় সেদিকেই আপাতত কৌতুহলী দৃষ্টি নিবন্ধ থাকবে ভারতীয় ক্রিকেট মহলের।