ঝোড়ো হার্দিক এবং দায়িত্বশীল ঋদ্ধিমানে জয়ে ফিরল গুজরাট।

 

রশিদ খান এবং নূর আহমেদের স্পিনের জাল যখন ঘিরে ধরেছে রাজস্থান রয়্যালসকে এবং একের পরে একটা উইকেট হারিয়ে তাঁরা তলিয়ে যাচ্ছে খাদের কিনারে ঠিক তখন থেকেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছিল গুজরাট। রশিদের ৩.৫ ইকোনমিতে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়া এবং নূর আহমেদের মিডল ওভারে উইকেট নেওয়ার ফলে গুজরাট টাইটান্স মাত্র ১১৮ রানে প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালসকে তাদের ঘরের মাঠে গুড়িয়ে দিয়েছিল ইনিংসের শুরুতে।

এরপর এলেন তিনি। শেষ তিনটি ম্যাচে মোট রান ছিল ১৪ এবং সামনে ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট, যার বাঁহাতি পেস বরাবর চাপে রেখেছে তাঁকে। আজ যেন কোনো চাপ যথেষ্ট ছিলনা ঋদ্ধিমান সাহাকে আটকাতে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে কভার ড্রাইভ এবং চতুর্থ বলে ব্যাকফুট পাঞ্চে নিজের ফর্মে আসার জানান দিয়েছিলেন। এরপর শুভমান গিলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ পার্টনারশীপ এগিয়ে নিয়ে যান ঋদ্ধি। তাঁদের জোড়া ব্যাটের কারণেই পাওয়ারপ্লের শেষে উইকেট না হারিয়ে ৪৯ রানে পৌঁছে যায় গুজরাট টাইটান্স।  সন্দীপ শর্মা যখন সামান্য বেগ দিচ্ছেন এবং শুভমান গিল দরকারের থেকে একটু বেশিই স্লো, তখন ঋদ্ধির মারা কয়েকটি বাউন্ডারি শট শুরুর দিকে চাপ হতে দেয়নি গুজরাটের জন্য।

অতঃপর শুভমান রানের গতি বাড়িয়ে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হলে ক্রিজে এসে ফিফথ গিয়ারে ইনিংস ছুটিয়ে নিয়ে যান হার্দিক পাণ্ড্য। অ্যাডাম জাম্পার একটি ওভারে পরপর ছয়-চারের বৃষ্টি নামিয়ে রানরেটকে অনেকটাই নামিয়ে আনেন তিনি এবং এরপর চাহাল-অশ্বিনকেও ছাড়েননি তিনি। ১৫ বলে ৩৯ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে তাড়াতাড়ি দলকে জিতিয়ে নিয়ে নেট রানরেটের বিচারে বেশ খানিকটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন অধিনায়ক হার্দিক। সঙ্গে ছিলেন ৫টি বাউন্ডারিসহ অপরাজিত ৪১ রান করা ঋদ্ধিমান সাহা।

আজ এই জয়ের সাথে সাথে লিগ টেবিলে প্রথম স্থানে থেকে প্লেঅফের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেল গুজরাট দল।