ষোড়শ আই পি এল এর আসরে লক্ষ্মৌর একানা স্টেডিয়ামের বাইশ গজ এক উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রায় প্রতি ম্যাচেই যেখানে রানের ফোয়ারা ছুটছে সেখানে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র এল এস জি দলের হোম গ্রাউন্ডে।কে এল রাহুলরা যেখানে সব খেলছেন সেই একানা স্টেডিয়ামের পিচের অস্বাভাবিক মন্থর গতির জন্য এই কেন্দ্রে প্রায় প্রতিটি ম্যাচই লো স্কোরিং হচ্ছে। স্বাভাবিক স্ট্রোক প্লের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়ে যাওয়ায় বাকী কেন্দ্রগুলির মত এখানকার ম্যাচে দর্শকদের জন্য প্রত্যাশিত বিনোদনের রসদ অনুপস্থিত।আর সি বি এর সঙ্গে বিতর্কিত ম্যাচে লক্ষ্মৌ মাত্র ১২৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৮ রানে হেরে যায়।চেন্নাই ম্যাচেও এই প্রচলিত চিত্রনাট্যের অন্যথা হয়নি।অভিযোগ উঠেছে এই পিচে দ্রুত রান তোলা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।স্লো টার্নারের এই উইকেট টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের পক্ষে আদর্শ বিজ্ঞাপন নয় এমন মতবাদ ক্রমশঃ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে এবং এজন্য বিসিসিআই এর ভূমিকাকে প্রত্যক্ষভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।
গত জানুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম এই পিচ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর আই পি এল এর কথা মাথায় রেখে বোর্ড একানা স্টেডিয়ামের বাইশ গজের প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনে উদ্যোগী হয়। তৎকালীন পিচ প্রস্তুতকারক সুরিন্দর কুমারকে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নির্বাসিত করার পর নতুনভাবে পিচ তৈরির কাজে হাত দেওয়ায় আশা করা হয়েছিল পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পিচের মৌলিক চরিত্রের তেমন একটা বদল হয়নি। ওয়াকিবহাল মহল এজন্য বোর্ডের পরিকল্পনাহীতাকে দায়ী করছে।আই পি এল এর শুরুর আগে নতুন করে পিচ তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি এমনটাই অভিযোগ। দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন পিচ প্রস্তুতকারককে মাত্র ৫০ দিনে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়ায় গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তিসম্মত প্রতিকূলতা ছিল বলে অনেকের অনুমান।এই তাড়াহুড়োর অনিবার্য পরিণতি অবাঞ্ছিত পিচ বিতর্ক।