নতুন দলে জিঙ্কসের নস্ট্যালজিক ছোঁয়া।

মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাট থেকে কঠিন সময়ে হাফসেঞ্চুরি, ওপেনিং স্পেলে উমেশকুমার তিলক যাদবের উইকেট পাওয়া থেকে শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধে অজিঙ্ক্য রাহানের অনবদ্য বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া বাউন্ডারি। সব মিলিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আজ যেন নস্ট্যালজিয়ায় পরিপূর্ণ।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং শুরু থেকে যদিও এতটা ছন্দময় ছিলেন না রাহানে। শুরুর দিকে বেশ কয়েকবার তুষার দেশপান্ডে চমকে দিলেন তাকে এবং অ্যাডাম মিলনেও ছিলেন একইরকম। মাঝখানে একটি বাউন্ডারি পেলেও জড়তা কাটাতে বেশ টাইম নেন জিঙ্কস। ভালো শুরু করা বেঙ্কটেশ আইয়ার আউট (১৫) হলে এরপর খেলায় নিজের আক্রমণাত্মক ধারা খুঁজে পান রাহানে এবং তাঁর সঙ্গী নীতিশ রানা, শিবম দুবে এবং মিচেল স্যান্টনারকে প্রহার শুরু করায় কাজ আরো সহজ হয় কলকাতার পক্ষে।

দিল্লি ক্রিকেটে একটি প্রচলিত কথা হলো নীতিশ রানাকে অফস্ট্যাম্পের বাইরে রুম দেওয়া একেবারে ক্রাইম। আজ এক ওভারে তিনবার সেই ভুলের আসামী শিবম দুবে এবং তার কিছু পরে আবার একই কাজ স্যান্টনারের। ফলস্বরূপ দুটি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে একটি ২১ রানের ইনিংস সাজিয়ে ফেললেন রানা। ভাগ্যিস ছিলেন ডোয়েন ব্রাভো। যদি তিনি একটি ‘লাকি’ উইকেট হিসেবে রানাকে শর্ট ফাইন লেগে না ধরা পড়াতেন তবে ম্যাচ হয়তো অনেক আগেই শেষ হয়।

বাকি কাজের জন্য ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার এবং স্যাম বিলিংস। কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে আইয়ার অধিনায়কোচিতভাবে ম্যাচ যেভাবে শেষ করলেন এবং বিলিংস যে দক্ষতায় জাদেজাকে সামলালেন তা অবশ্যই ভালো ইঙ্গিত কলকাতার মিডল অর্ডারের পক্ষে।

আজ চেন্নাই বোলিংয়ে উজ্জ্বল একমাত্র ডোয়েন ব্রাভো। দিনের শেষে পাঁচ ইকোনমিতে ২০ রান দিয়ে নস্ট্যালজিয়ার মাত্রায় যেন একটু বাড়তি মশলা যোগ করলেন তিনি। বর্তমানে আইপিএলের উইকেট-শিকারীদের লিডারবোর্ডে তাঁর নাম যুগ্ম শীর্ষে চলে এলো (১৭০ উইকেট)।

ছয়টি দর্শনীয় চার ও একটি ছয় দিয়ে সাজানো অজিঙ্ক্য রাহানের ইনিংস কেকেআর দলকে কিছুটা চিন্তামুক্ত করবে। ততটাই নিশ্চিন্তির সুখ হয়তো ব্রেন্ডন ম্যাকালামও পাবেন যখন দেখবেন তার প্রথম এগারোর পছন্দের বাইরে থাকা বোলার ১৫টি ডট বল করে ২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। হ্যাঁ উমেশ যাদবের কথাই বলছি।