প্রচলিত জনপ্রিয় জনশ্রুতিকে বিশ্বাস করলে বলা উচিত এই ম্যাচ বলিউড বাদশার জন্য কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষী লাঞ্ছিত সেই হেনস্থার কাহিনী আজও শাহরুখ খানের স্মৃতিতে দগদগে ঘা হয়েই থেকে যাওয়ার কথা। ওয়াংখেড়েতে আর কখনও না যাওয়ার সেই ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা এখনও অটুট এবং প্রতিবার আই পি এল এর আসরে মুম্বাই দ্বৈরথের আগে নাকি ছেলেদের একান্তে ডেকে এই বার্তাই দিয়ে থাকেন কিং খান,” চ্যাম্পিয়ন না হলেও কোন আক্ষেপ থাকবে না যদি এই ম্যাচটা জিততে পারো।” আজকের লড়াই রোহিতদের ঘরের মাঠে কাজেই নাইট মালিক আজ সশরীরে ২০১১ এর বিশ্বজয়ের মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন না বলাই বাহুল্য কিন্তু বরাবরের মত তার সেই আকুতি এবারও বজায় থাকার সম্ভাবনা।
যদিও ইতিহাস প্রবলভাবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর পক্ষে। দুদলের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার এর পরিসংখ্যান বলছে মোট ৩১ বারের সম্মুখসমরে নাইট রাইডার্সের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে সাকুল্যে ৯ বার এবং আজ সেই চাকা উল্টো দিকে ঘোরাতে চাওয়ার আপ্রান তাগিদে যে ব্যক্তি নাইট বাহিনীর সবচেয়ে ভরসাযোগ্য মূলধন তিনি মাঠে নামতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা ষোল আনা নেই। অধিনায়ক যতই সরকারিভাবে দাবী করুন মামুলি পায়ের পেশীর টান মাথাব্যাথার কারণ নয়, নাইটদের অন্দরমহলের খবর হচ্ছে আন্দ্রে রাসেল আজকের ম্যাচে ঘোরতর অনিশ্চিত। হায়দ্রাবাদ ম্যাচে বল করতে গিয়ে তাকে খোঁড়াতে দেখার পর নাইট সমর্থকদের দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি স্বাভাবিক।যদিও ব্যাট হাতে এখনও পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান অল রাউন্ডার ঝড় তুলতে ব্যর্থ,নাইট ম্যানেজমেন্ট শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী তাকে খেলাতে মরিয়া। ওপেনিং জুটি সহ টপ অর্ডার এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ছন্দহীন এবং রিঙ্কু সিং বা শার্দুল ঠাকুর এর পক্ষে রোজ রোজ অতিমানব হয়ে ওঠা সম্ভব নয় এমন প্রেক্ষাপটকে মাথায় রাখলে রাসেল ঝড় দ্রুত না উঠলে নাইটদের ভাগ্যাকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে বাধ্য।তার সম্ভাব্য বদলি হিসেবে নবাগত ডেভিড উইজা বড় মঞ্চে এখনও পর্যন্ত অপরীক্ষিত।অতএব মুম্বাই বধের পরিকল্পিত রণকৌশলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে আন্দ্রে রাসেল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেনানী বিবেচিত হলে আশ্চর্য হব না।