মর্যাদার লড়াইয়ে বিধ্বস্ত নাইট বাহিনী।

আরব সাগরের তীরে যে মর্যাদাব্যঞ্জক দ্বৈরথ একান্তভাবেই ব্যক্তিগত হিসেবনিকেশ তথা অপ্রাপ্তির খেদ মিটিয়ে নেওয়ার জন্য জিততে চেয়েছিলেন বলিউড বাদশা,তাতে এহেন অসহায় আত্মসমর্পণ হঠাৎ করেই আই পি এল এ নাইটদের ভবিষ্যত সাময়িক অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিল।পরপর দু ম্যাচে হারের চেয়েও বড় কথা আজকের পর্যদুস্ত হ‌ওয়ার কাহিনীর ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে একাধিক অপ্রিয় সত্য বেআব্রু হয়ে পড়ছে যেগুলো নিয়ে নাইট ম্যানেজমেন্ট অবিলম্বে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সদর্থক ভাবনাচিন্তা শুরু না করলে এবারের আই পি এল অভিযান কন্টকাকীর্ণ দেখাতে বাধ্য। প্রথমতঃ ওপেনিং সমস্যার স্থায়ী সমাধান অধরা থাকলে লোয়ার মিডল অর্ডার যেদিন ফ্লপ করবে সার্বিকভাবে ব্যাটিং ভরাডুবি‌ অবশ্যম্ভাবী।গুরবাজ এর ব্যাটে প্রথম দুটো ম্যাচে যতটা আশাব্যঞ্জক প্রদর্শন দেখা গেল,যত সময় যাচ্ছে ক্রমশঃ আবিস্কৃত হচ্ছে যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া নন। তার সঙ্গী সম্পর্কে সেটুকু বলার‌ও উপায় নেই।

লিটন দাস নামে একজন ডাগ আউটে বসে আছেন অথচ উপুর্যপরি ব্যর্থতা সত্ত্বেও এন জগদীশনকে টিম ম্যানেজমেন্ট এর স্নেহধন্য বলে মনে হচ্ছে এই বার্তা চন্দ্রকান্ত পন্ডিতদের জন্য খুব ইতিবাচক হ‌ওয়া উচিত নয়। পরের ম্যাচেই টপ অর্ডারে একাধিক বদল না দেখলে বুঝতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ‌ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ধারাবাহিক সাফল্যের রেসিপি খুঁজে বের করতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। ভেঙ্কটেশ আয়ার আজ কে কে আর নামক নকল বুঁদিগড় একা কুম্ভ হয়ে রক্ষা করলেন,কাল হয়ত অন্য কেউ আবির্ভূত হবেন, কিন্তু সামগ্রিকভাবে ব্যাটিং লাইনআপকে বলিষ্ঠ না দেখালে অদূর ভবিষ্যতে এরকম হারের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ অত্যাশ্চর্য অঘটন বলেই ধরতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ডেথ ওভারে পেস বোলিং ইউনিটের ধারাবাহিক ব্যর্থতাও কম উদ্বেগের কথা নয়।আজ অবশ্য সুযশ শর্মা বাদে বাকীরা সুপারফ্লপ।১৮৫ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ৬ ওভারে ৭২/০ এর পর গল্পের রোমহর্ষক ক্লাইম্যাক্স বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না যদি না শার্দুল রিঙ্কুদের মত কেউ অতিমানবীয় না হয়ে ওঠেন। অঘটন যে রোজ রোজ ঘটে না সেই সত্য বেঙ্কি মাইসোর রা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন নাইট আকাশে পুনঃ সূর্যোদয়ের জন্য সেটা ততটাই ইতিবাচক।