বারাসাতের আদিত্য স্কুল ক্যাম্পাসে সুপার ডিভিশন ম্যাচের জন্য মুখোমুখি হয়েছিল কালীঘাট ক্লাব এবং পাইকপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই কালীঘাটের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ে পাইকপাড়া। অমিত কুইল্যা শুরুতে ভালো বল করার পরে আমন সিংয়ের দাপটে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে যায় পাইকপাড়া। তিনটি উইকেট নেন বিকাশ সিং। পাইকপাড়ার সৌরভ হালদার ছাড়া আর কেউ দুই অংকের রান করেননি। একই সঙ্গে মাত্র ৪৭ রানে সুপার ডিভিশন ক্রিকেটে কোনো দল সম্ভবত এই প্রথম অলআউট হলো।
দলের এই পারফরমেন্স বেশ খুশি করেছে কালীঘাট দলের মেন্টর হীরক সেনগুপ্তকে। হীরকবাবু বললেন, “ভালো অবশ্যই লাগছে। বোলাররা দারুণ বল করেছে, ব্যাটিংটা ভালো হবে এরপরে। দশ পয়েন্ট আমরা পেয়েছি, বোলাররা দেড় দিনে ২০ উইকেট তুলেছে। আমাদের আমন সিং ও বিকাশ সিং দারুণ বল করেছে, তাছাড়া এখন কৌশিক মাইতিকে আমরা পাচ্ছি। কৌশিক অনেক বড়ো অ্যাসেট সব স্কিল নিয়ে। পরের ম্যাচে প্রীতম চক্রবর্তী থাকবে, সুদীপ ঘরামি যদি ইরানি ট্রফিতে না থাকে তবে থাকবে এবং দেবব্রত দাসকেও পাচ্ছি আমরা।”
কালীঘাট দলের ব্যাটিং গুটিয়ে গিয়েছে মাত্র ১৮০ রানে, তা নিয়ে হীরক সেনগুপ্ত বলেন, “বারাসাতের উইকেট খুব খারাপ ছিল না, একটু লো বাউন্স ছিল। আমাদের ব্যাটাররা কিছু লুস শট খেলে ফেলেছে, একটু পসিটিভ ইনটেন্ট রাখলে আমার মনে হয় রান বাড়তো। তবুও কৌশিক মাইতি এবং অভিষেক মিত্র ভালো খেলেছে।” হীরকবাবু আরো বলেন, “প্রত্যেকে ভালো ব্যাটার, পেশাদার খেলোয়াড়। সেই দিক থেকে দেখলে আমাদের ব্যাটিং আর একটু স্ট্রং করতে হবে।”
পাঁচ উইকেট নেওয়া আমন সিং সম্পর্কে হীরকবাবুর বক্তব্য, “আমন খুব সৎ এবং ক্রিকেটের প্রতিও খুবই সৎ। রাজস্থান থেকে নিজের পরিবার ছেড়ে এখানে এসে থাকছে এবং প্রতিদিন ঠিক সময়ে প্র্যাক্টিসে আসে। এটা অনেক বড়ো পসিটিভ ওর। আমি মনে করি আমন স্পেশাল।”
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৩ রানে পিছিয়ে থাকা পাইকপাড়া, বিকাশ সিংয়ের দাপটে মাত্র ৯৪ রানে শেষ হয়ে যায়।
আমি বাঙালী ব্যাটআরদের দেখে হতাশ। কেউই পুরো ইনিংস খেলার চেষ্টা করলো না।