অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে খেলোয়াড়টি হ্যাটট্রিক করলেন সেই খেলোয়াড়টি কে জানেন?
বছর পাঁচেক আগে আয়ারল্যান্ডের এই খেলোয়াড়টি আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় স্কুলের পড়াতেই ছিল যাবতীয় ফোকাস। তাই সিরিজ খেলতে পারেননি। গত বছর তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের নেট বোলার ছিলেন। অভিজ্ঞতা যে বেড়েছে, সন্দেহ নেই। হঠাৎ পেস জেনারেট করার ক্ষমতা, নির্দিষ্ট লাইন-লেন্থে বোলিং, সেই সঙ্গে উল্টো দিকে যেই থাকুক না কেন, পারফর্ম করার মানসিকতা। এই তিনের যোগ ফলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন ২৩ বছরের জোসুয়া লিটল। আয়ারল্যান্ডের এই বাঁ হাতি পেসার ১৯তম ওভারে পর পর তিন বলে ফিরিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন, জিমি নিস্যাম ও মিচেল স্যান্টনারকে। জোসুয়ার হ্যাটট্রিকের পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট মহল।
এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন কার্তিক মাইয়াপ্পান। আরব আমিরশাহির শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে অভিনব সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুপার টুয়েলভে এই প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন কোনও বোলার। শুক্রবার অ্যাডিলেডে জোসের দুরন্ত বোলিংয়ে মোহিত সকলেই। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। যদি জোসুয়া ওই হ্যাটট্রিক না করতেন, তা হলে ২০০-র বেশি রান করে ফেলত নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাস ধরলে এটা ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গত বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার। আরও দুটো হ্যাটট্রিক হয়েছিল গত বার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পর পর তিন উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা।
ইনিংস শেষ হওয়ার পর জোস লিটল বলেছেন, ‘বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে বল ভিতরে নিয়ে আসতে পারছিলাম। ওটাই আমি পর পর তিন বলে করে গিয়েছি। আগে আমি শর্ট বল বেশি করতাম। কিন্তু এখন ফুল লেন্থে বোলিং করার চেষ্টা করি। উইকেট যখন পায় কোনও বোলার, তখন তার আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে যায়, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’