প্রশ্ন: গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের বই উদ্বোধনে কি না স্বয়ং বোর্ড সভাপতি!
সৌরভ: ব্যাপারটা এভাবে দেখা ঠিক হবে না। ভিশি হল একজন স্পেশ্যাল ক্রিকেটার। বোর্ড সভাপতির চেয়ারে না থাকলেও আমি আসতাম।
প্রশ্ন: ভিশি তো বলছেন, এভাবে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বই উদ্বোধন করার পরিকল্পনাটা আপনার।
সৌরভ: যখনই শুনেছিলাম আত্মজীবনী লেখার পালা শেষ, খোঁজ নিতে শুরু করেছিলাম ওঁদের পরিকল্পনার কথা। এবং সিদ্ধান্ত নিই যে, পিঙ্ক বল টেস্টেই ভিশির বইয়ের উদ্বোধন হবে।
প্রশ্ন: কখনও ভিশির খেলা দেখেছিলেন?
সৌরভ: পাঁচ বছর বয়স থেকে ইডেনে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। যখন আমার বয়স ১২, তখন বাবা আমাকে এবং দাদাভাইকে (স্নেহাশিস গাঙ্গুলি) নিয়ে বাঙ্গালোরে টেস্ট ম্যাচ দেখতে নিয়ে গিয়েছিল। যদি বলেন মনে আছে কি না, তাহলে বলব, নামটা মাথায় গেঁথে গিয়েছিল ছোটবেলা থেকে। তারপর ইউটিউবে দেখেছি বহু ইনিংস। অন্য জাতের ব্যাটসম্যান। রাজসিক সৌন্দর্যে ভরা সব স্ট্রোক। কিন্তু কপিলদেবের খেলা দেখেছি মাঠে বসে। কিন্তু ৮৩–র বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখে ক্রিকেটার হওয়ার বাসনা জেগে উঠেছিল। আমি খুশি যে, ওই দু’জন ক্রিকেটারের সঙ্গে আজ একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ পাচ্ছি। দু’জনের খেলাতেই ছিল স্বাভাবিক সৌন্দর্য।
প্রশ্ন: দূর থেকে দেখা গেল, আপনি একটা উপহার তুলে দিলেন ।
সৌরভ : হ্যাঁ, ওটা আমার উপহার নয়। বোর্ডের তরফ থেকে একটা গোলাপি বল সুন্দর শো–কেসের মধ্যে রেখে স্মারক হিসেবে ভিশির হাতে তুলে দিয়েছিলাম।
প্রশ্ন: আপনি তো কলকাতা ফিরে যাচ্ছেন। তাহলে এই টেস্ট শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণ কে করবেন?
সৌরভ: রজার বিনি রয়েছেন। এখানকার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। আর এই বায়ো-বাব্লের কারণে এখন তো আর কারও হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় না। টেবিল থেকে তুলে নিতে হয়। কলকাতায় প্রচুর কাজ আছে।
প্রশ্ন: শেন ওয়ার্নের মৃত্যু সম্পর্কে কিছু বলেননি কিন্তু।
সৌরভ: হার্টের রোগটা এমনই যে, কখন হুশ্ করে জীবনের প্রদীপ নিভে যাবে, তা টের পাওয়া যায় না। সম্প্রতি আমিও তো ভুক্তভোগী। হার্টের রোগ নিয়ে ছেলেখেলা করা যায় না। উচিত নয়।
প্রশ্ন: মাস দেড়েক আগে আপনি নাকি হায়দ্রাবাদে দিন দুয়েকের জন্য দেবী শেঠির হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? খবরটা ওখানকার।
সৌরভ: হ্যাঁ, আমিও শুনেছি। কিন্তু বাজে খবর। হায়দ্রাবাদের ওই হাসপাতালে গিয়েছিলাম ঠিকই। ওখানের নতুন একটি ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাঃ শেঠি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: কেমন দেখছেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ?
সৌরভ: একপেশে। শ্রীলঙ্কা লড়াই করতে পারছে না। আমাদের দেশে অধিকাংশ বিদেশি দল এলেই স্পিনের ফাঁদে জড়িয়ে আটকে যায়। শ্রীলঙ্কাও যাচ্ছে।
প্রশ্ন: বল কিন্তু প্রথম ঘণ্টা থেকেই ঘুরতে শুরু করেছে।
সৌরভ: নতুন ব্যাপার নয়। এই ধরনের উইকেটে খেলার জন্য খুব ভাল ফুটওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। টার্নিং পিচে ব্যাটারদের ক্রিজ ছেড়ে বেরতেই হবে এবং ক্রিজ ছেড়ে বেরনোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে দোটানায় ভুগলে চলবে না। ক্রিজ ছেড়ে বেরনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে বল ব্যাটে লাগাতেই হবে। ভাল ব্যাটস্যুইং থাকলে বল উড়ে যাবে বাউন্ডারিতে। আর মিস করলে আউট। নিজের ওপর অগাধ আস্থা রাখা উচিত।